সহিংসতাকারীদের ঢাকা ত্যাগ ঠেকানোর চেষ্টা ডিএমপির, গ্রেপ্তার ২১০০
প্রকাশিতঃ 6:50 pm | July 25, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যারা সহিংসতা করেছে তারা যেন ঢাকা শহর ছাড়তে না পারে সেই চেষ্টা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের প্রত্যককে আইনের আওতায় আনার জন্য ডিএমপি কাজ করছে। এই কাজ আরও বেগবান করা হবে। আমরা আরও পরিকল্পনা করছি যেন এই ধরনের সন্ত্রাসীরা যেন ঢাকা না ছাড়তে পারে। ঢাকার ভেতরে যারাই থাকুক না কেন তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’।
এখন পর্যন্ত ২০০টি মামলায় ২ হাজার ১০০ জনের ওপরে সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আরও কিছু মামলা দায়ের হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যারা প্রকৃত পক্ষে বিটিভি ভবনে হামলায় জড়িত ছিলো, যারা প্রকৃত পক্ষে সেতু ভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলো, যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল ধ্বংস করার কাজে নিয়োজিত ছিলো গ্রেপ্তার ২ হাজার ১০০ জনের মধ্যে প্রত্যেকের কন্ট্রিবিউশান ছিলো।
বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই দেশে উন্নয়নের যে জোয়ার প্রধানমন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন এই সন্ত্রাসী চক্র কিন্তু বেছে বেছে সেগুলোতে হামলা করেছে। সেতু ভবনে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল সেন্টার সেতু ভবন ও পদ্মা সেতুরও মূল সেন্টারও সেতু ভবন। প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন দেশে, সেই উন্নয়নের যাত্রাকে ব্যহত করার জন্য, যেখানে থেকে উন্নয়নের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা হচ্ছে সেগুলোকে বেছে বেছে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। সমস্ত নথিপত্র তারা পুড়িয়ে দিয়েছে।
‘এসব জামায়াত ও বিএনপি চক্রকে ধরার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাই করবে।’
আরও কী পরিমাণ লোকজন ঢাকায় আছে বলে সন্দেহ করছে ডিএমপি, নিরাপত্তার কোনো হুমকি আছে কি না— জানতে চাইলে ডিএমপির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, গত দুই-তিন দিন যাবৎ সন্ত্রাসীরা গাঁ ঢাকা দিয়ে আছে। আমাদের কিন্তু ব্লকড রেইড চলমান রয়েছে। ব্লকড রেইড ছাড়াও ঢাকায় দিন-রাতে পুলিশের অপারেশন চলমান রয়েছে। সন্ত্রাসীরা গাঁ ঢাকা দিক আর যেখানেই থাকুক, পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে কক্সবাজার কিংবা পঞ্চগড়ে পালিয়ে যাক বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে পালিয়ে যাক না কেন আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করব। পুলিশের পোশাকের ওপর আঘাত করা মানে আইজিপি স্যারের ওপর আঘাত করা, কমিশনার স্যারের ওপর আঘাত করা। যারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে, তাদের এই কালো হাত আইনগতভাবে ভেঙে দেওয়া হবে।
কালের আলো/ডিএস/এমএম