দেশে ২০ দিনে ১৫০০ ফেসবুক আইডি বন্ধ

প্রকাশিতঃ 10:10 pm | February 23, 2019

ডেস্ক রিপোর্ট, কালের আলো:

উগ্র মতবাদ, ঘৃণাসূচক মন্তব্য, বিকৃত ছবি, উসকানিমূলক কথাবার্তা ছাড়ানোর অভিযোগে দেশে গত ২০ দিনে দেড় হাজার ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাসহ পরিচিতজনদের নামে ফেক আইডি (ভুয়া) খোলা হয়েছিল বলেও প্রমাণ রয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর হাতে। এসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেশ থেকে নির্বাচিত ফোকাল পয়েন্টদের মাধ্যমে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ফেক আইডি, পেজ, গ্রুপের লিংক বন্ধ করতে অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা সম্প্রতি দেড় হাজার ফেসবুক আইডি বন্ধ করাতে সক্ষম হয়েছি। যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে সেগুলো থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। জঙ্গিরাও বিভিন্ন আইডি ব্যবহার করছিল।”

তিনি আরও বলেন, “অনেকেই বলছেন, যেহেতু পর্নো সাইট বন্ধ করছি ফলে ফেসবুক আইডিগুলোর সঙ্গে পর্নোগ্রাফির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা। আসলে যে আইডি বন্ধ করা হয়েছে সেসবের সঙ্গে পর্নোগ্রাফির কোনও সম্পর্ক নেই।”

মন্ত্রী বলেন, “ফেসবুকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের চেয়ে উষ্ণ হয়েছে। আমরা কিছু বললে বা অনুরোধ করলে তারা শোনে। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে মেলায়। আমাদের অনুরোধ বোঝার চেষ্টা করে এবং দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করে। এটা অনেক বড় অর্জন বলে আমি মনে করি।”

শিগগিরই আরও আইডি ব্লক করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এরইমধ্যে সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের টিম দিনরাত কাজ করছে।”

জানা গেছে, সাইবার দুনিয়া মনিটর করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনে ডট (ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম) জোরালোভাবে কাজ করছে। ডটের অধীনে শুরু হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি মনিটরিং প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্প সক্রিয় হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে মনিটর করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের আইটি মনিটরিং সেল রয়েছে। সেই সেল এসব বিষয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া নির্বাচনের সময় গঠিত ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’ এখনও কাজ করছে।

এছাড়া আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি)-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো আগের চেয়ে এখন মনিটরিংয়ে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব চিহ্নিত করা সহজ হচ্ছে।

কালের আলো/এমএইচএ