আধুনিকায়নের পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন: উপদেষ্টা আসিফ

প্রকাশিতঃ 5:18 pm | September 22, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মানুষের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি যেভাবে দাঁড় করিয়েছে সে কারণে ট্রাফিকসহ বিভিন্ন পুলিশের অনেক য়তি হয়েছে। সরকার পতনের সময় অনেকগুলো ট্রাফিক বক্সে আগুন লেগেছে। যে কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি সংস্কারের প্রয়োজন আছে।’

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের এনএসসি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা’ বিষয়ক প্রশিণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এই কোর্সের আওতায় দুই দিনব্যাপী প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ৭ টি ব্যাচে মোট ২,১০০ জন প্রশিণার্থীকে প্রশিণ প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবকিছু সংস্কারের সঙ্গে এ ট্রাফিক ব্যবস্থারও সংস্কারের কথা বলছি। যাতে করে বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত দেশের মতো সংস্কার করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে মানুষের ব্যবহার কমিয়ে কীভাবে ডিজিটাইজেশন করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব পেয়েছি। ৫ আগস্টের পর তিনদিন আমরা শাসনহীন অবস্থায় ছিলাম। তখন শিার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ থেকে আইনশৃঙ্খলা রার কাজ পর্যন্ত করেছেন। দেশকে রার দায়িত্ব তরুণরা নিয়ে দেখিয়েছেন সরকার ছাড়াও চাইলে দেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের থাকার থেকে ট্রাফিক মেনে চলার যে সচেতনতা তা সব থেকে বড় বিষয়। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মানুষ ট্রাফিক লাইট দেখে নিয়মকানুন মেনে চলে। কিন্তু আমাদের সচেতনতার অভাব থাকার কারণে যদি ট্রাফিক পুলিশ বেশিও রাখা হয় তাহলেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই এ সচেতনতা আমাদের সমাজে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কিছু সরঞ্জামের কথা আপনারা (শিার্থীরা) বলেছেন। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ট্রাফিক বিভাগ আছে তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন সঠিক লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করেন।’

কালের আলো/এমএএইচ/ইউকে