তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে ডিবি

প্রকাশিতঃ 5:05 pm | September 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও যারা জড়িত আছে তাদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

গত বুধবার মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে ৩২ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল হোসেন নির্যাতনের শিকার হন। কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর এ ঘটনায় আট ছাত্রের সংশ্লিষ্টতা পেয়ে বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, শুরু থেকেই পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। মামলার পর আমাদের ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ৬ জন ছাত্রকে সোপর্দ করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছু ফাইন্ডিংস আমাদের জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাকি যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে, তদন্তে যদি আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।

যেসব পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এখনও অনুপস্থিত, আপনারা জানেন আমাদের কিছু আইন ও বিধির মধ্যে চলতে হয়। চাকরিতে কিছু নিয়ম-কানুন আছে। সেই নিয়ম কাকুন বিধি অনুযায়ী যদি কেউ বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে চাকরি বিধি মেনে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই মুখপাত্র বলেন, ঢাকার ২২টি থানা আংশিক বা পরিপূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, সবমিলিয়ে ২১৬টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, অল্প সময়ে সংস্কার করে আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার। আমরা সীমিত রিসোর্সের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি নগরবাসীর জনজীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে।

ডিএমপির লুণ্ঠিত অস্ত্রের বিষয়ে এখনও ‘হিসেব-নিকেশ’ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু অনেকগুলো স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা এখনও পরিপূর্ণ তথ্য পাইনি। এটার কাজ চলছে, শেষ হলে আপনাদের পরিপূর্ণ তথ্য দিতে পারব।

কালের আলো/এমএএইচ/ইউএইচ