পূজা মণ্ডপসমূহে নৌবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়, সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রদর্শনের আহ্বান
প্রকাশিতঃ 10:29 pm | October 08, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু এখন সময়ের ব্যাপার। বুধবার (০৮ অক্টোবর) থেকে সূচনা হবে দুর্গাপূজার। বর্ণাঢ্য আয়োজনে মণ্ডপগুলো সেজেছে বর্ণিল সাজে। উলুধ্বনি আর শঙ্খনাদ এর সঙ্গে ঢোলের বোল আর বন্দনার মাধ্যমে মন্দির আর মণ্ডপগুলোতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিচ্ছেন ভক্তরা।
মন্দির ও মণ্ডপগুলোতে দেখা মিলেছে নিরাপত্তার নানা আয়োজন। দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান এর নির্দেশে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পূজা মণ্ডপসমূহে তাঁরা গড়ে তুলেছেন কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বরগুনার বিভিন্ন মণ্ডপ ও চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পূজা মণ্ডপসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তাঁরা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, পুরোহিত ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় কোস্ট গার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার, স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের খুলনা প্রতিবেদক জানান, পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে রিয়াল এডমিরাল গোলাম সাদেক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা যারা শারদীয় দুর্গাপূজ উদযাপন করছেন, তাদের কাছে আমাদের বক্তব্য হলো- বরগুনাতে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ বাহিনী, আনসার ও কোস্টগার্ডও আছে। আমরা যাতে মিলেমিশে সার্বজনীনভাবে পূজা উদযাপন করতে পারি সে ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। বরগুনা, ভোলা ও খুলনার কিছু অংশের দায়িত্বে নৌবাহিনী আছে। আমরা আমাদের লোকসংখ্যা আরও বৃদ্ধি করেছি যাতে কোনো রকমের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পূজা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিভিন্ন স্থানে টহল ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোস্ট গার্ড, র্যাব, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। একইসঙ্গে যেকোন ধরনের নাশকতা কিংবা অপতৎপরতা প্রতিহত করতে দায়িত্বরত নৌ কন্টিনজেন্টসমূহকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে আঞ্চলিক কমান্ডাররা সবাইকে সহযোগিতা ও সম্প্রীতি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেখা গেছে, এবারও দুর্গাপূজাকে প্রতিমা আর মণ্ডপগুলোতে দেখা যাচ্ছে নান্দনিকতার ছাপ। পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে বইছে উৎসবের আমেজ। ঢাক-ঢোল কাঁসা এবং শঙ্খের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মণ্ডপ।
কালের আলো/এমএএএমকে