পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দূষিত নগরীর অপবাদ থেকে মুক্ত হবে ঢাকা: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ 4:04 pm | November 05, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো: 

‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০২৪-৩০’ বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকা দূষিত নগরীর অপবাদ থেকে মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা জানান।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এই এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের বাস্তবায়ন যদি ৫-৭ বছরের মধ্যে নিশ্চিত করা যায়, তাহলে আমরা ঢাকাকে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের নগরীর অপবাদ থেকে বের করে আনতে পারবো এবং জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারবো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, এই প্ল্যানের মাধ্যমে কোন কোন বিষয়গুলো কি মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করছে তা আলাদাভাবে মনিটরিং করে আমাকে জানাবেন এবং জনগণকেও জানাবেন।

পরিবেশ দূষণের কারণগুলোর দিকে নজর দিয়ে তিনি আরো বলেন, গ্রাম দেশে গোবর পুড়িয়ে যে গৃহস্থালীর রান্না হয়, সেখান থেকে দূষণ হয়। বাংলাদেশের অনেক নারী এই দূষণের কারণে মারা যায়।

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ডিজেল চালিত জেনারেটর, ইটভাটা, সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, স্টিল মিল, যানবাহন, মেডিসিন বর্জ্য থেকে দূষণ হচ্ছে। আমরা এখনো রিফাইনাযরি স্ট্যান্ডার্ড থেকে পিছিয়ে আছি।

তুলনামূলক ভালো পরিবেশের জন্য তো আমরা কনস্ট্রাকশন, রোড ডাস্ট, ব্রিকস, সিমেন্ট এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। এগুলোর জন্য তো আমাদের বসে থাকার দরকার নেই।

তিনি আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় কোনো দ্রুত সমাধান নেই। তবে কিছু কিছু কাজ আমরা শুরু করতে পারি। আপনারা জানেন, নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমতি দিচ্ছি না। জিকজ্যাক ইটভাটাগুলোকে আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি, তারা কম্প্লায়েন্স করছে কিনা সেটা দেখভাল করার কাজ শুরু করেছি।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার বাইরে নোয়াখালীর রামগতিতে একটি এলাকাতেই ৩৬টি ইটভাটা। কি করে তারা ছাড়পত্র পেল, কি করে তারা এতদিন পরিচালিত হলো সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাব দিতে হবে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা কাজ শুরু করেছি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ