আর্মি মেডিকেল কোরের রিক্রুট ব্যাচ কুচকাওয়াজ, সামরিক জীবনে শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি’র 

প্রকাশিতঃ 9:03 pm | November 06, 2024

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

আর্মি মেডিকেল কোরের রিক্রুট ব্যাচ কুচকাওয়াজ। নান্দনিক ও চৌকস এক প্যারেড। ৪১৮ জন মেধাবী তরুণ সামরিক ও অসামরিক পরিমণ্ডল থেকে অংশ নিলেন সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজে। একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার অঙ্গীকার করলেন। দৃঢ় কণ্ঠে দৃপ্ত শপথ নিলেন দেশ মাতৃকার সেবায় জীবন উৎসর্গ করারও। সাফল্যের সঙ্গে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নবীন রিক্রুটদের অভিনন্দন জানালেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান। আহ্বান জানালেন সামরিক জীবনে শৃঙ্খলা রক্ষার।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) টাঙ্গাইলস্থ ঘাটাইলের আর্মি মেডিকেল কোর সেন্টার এন্ড স্কুলে (এএমসিসিএন্ডএস) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করে মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান জীবনের সকল কাজে সততা অবলম্বন করতে নবীন সৈনিকদের অনুপ্রাণিত করেন।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, জেসিও, অন্যান্য পদবীর সৈনিক ও প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী রিক্রুটদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন।

আর্মি মেডিকেল কোরের রিক্রুট ব্যাচ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম ও সামরিক অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে আজ তোমরা সামরিক জীবনে পদার্পণ করেছো তা তোমাদের সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন হয়ে থাকবে। সৈনিক হিসেবে দেশসেবা এবং মেডিকেল কোরের সদস্য হিসেবে মানবতার সেবা করার বিশেষ সৌভাগ্যে তোমরা সৌভাগ্যবান বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘আজ তোমরা ৮১ তম রিক্রুট ব্যাচ ২০২৪ এর মোট ৪১৮ জন তরুণ সামরিক-অসামরিক পরিমণ্ডল থেকে একসঙ্গে উন্নত সামরিক কুচকাওয়াজ করেছো। এজন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ‘সমরে ও শান্তিতে রাখিবো সুস্থ’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে সেনাবাহিনী তথা জাতিকে সেবাদানের জন্য তোমাদের পেশাগত উৎকর্ষ, নিরলস পরিশ্রম এবং ত্যাগের মহান ব্রত নিয়ে নিজেদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আর্মি মেডিকেল এবং আর্মি ডেন্টাল কোর তথা সেনাবাহিনীতে তোমাদের অন্তর্ভূক্তিকে আমি স্বাগত জানাই।’

মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান আরও বলেন, ‘আজ তোমরা মানবতার সেবায় আত্মত্যাগের জন্য শপথ গ্রহণ করেছো। পরবর্তীতে আরও প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন মেডিকেল ইউনিটে যোগদান করবে এবং রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। সততা মানবজীবনের অন্যতম বড় সম্পদ। জীবনের সকল কাজে সততা অবলম্বন করবে। মনে রেখো জীবনে জীবনে সৎ হওয়ার জন্য তোমার ইচ্ছাই যথেষ্ট। আরও মনে রাখবে সবার আগে দেশ, তারপর আমাদের প্রাণপ্রিয় সেনাবাহিনী এবং নিজের স্বার্থ সবার শেষে। সৈনিক হিসেবে এটিই আমাদের ব্রত। দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার যে শপথ তোমরা নিয়েছো তা জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করবে। সামরিক শৃঙ্খলা সর্বদা রক্ষা করবে। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন সর্বদা মেনে চলবে।’

‘আমি বিশ্বাস করি আজকের এই নবীন সৈনিকরা এই সুনামকে ধরে রাখতে আজীবন বদ্ধপরিকর থাকবে। সেনা সদস্য হওয়ার গৌরবে অনুপ্রাণিত হয়ে কঠোর পরিশ্রম, পেশাগত সততা ও উন্নত মূল্যবোধের মাধ্যমে নবীন সৈনিকরা তোমাদের দক্ষতা উত্তরোত্তর বাড়িয়ে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখবে’-এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের এই জিওসি।

কালের আলো/এমএএএমকে