ড. কামাল গণফোরামের কেউ নন, তিনি বহিষ্কৃত: মফিজুল ইসলাম খান

প্রকাশিতঃ 5:27 pm | November 23, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ড. কামাল হোসেন গণফোরামের কেউ নন এবং তিনি বহিষ্কৃত বলে দাবি করেছেন দলটির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দাবি করা সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন দাবি করেন তিনি । গণফোরাম নেতা ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভূইয়া, এ্যাডভোকেট আবুল কাসেম ও অধ্যক্ষ উজ্জল ভৌমিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ড. কামাল হোসেন ও ডাক্তার মিজানুর রহমান গণফোরামের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আামাকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখেন না। একটি জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাকে গণফোরামের সভাপতি করা হয়েছে। বরং ড. কামাল হোসেন এখন গণফোরামের কেউ নন। তিনি গণফোরাম থেকে অর্থাৎ রাজনীতি থেকে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর অবসর নিয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনেও আমি গণফেরামের সভাপতি হিসেবে স্বীকৃত। তবে তাদের ওয়েবসাইটে আমার নাম কেন নাই- সে বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ভাল বলতে পারবে। এছাড়া তাদের ওয়েবসাইটে কারিগরি সমস্যাও থাকতে পারে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে অংশগ্রহণের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, রাজনীতিতে অসত্য কথা বলা হয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে -তা মিথ্যা।

তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু যখন দেখেছি যে, নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তখন আমরা নির্বাচন থেকে সরেও দাঁড়িয়েছি।

সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে তার নেতৃত্বে গণফোরামে সকলকে যোগদানের আহবান জানিয়ে মফিজুল ইসলাম খান বলেন, গণফোরাম ন্যায় নীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একটি রাজনৈতিক দল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা নেই, তাদের সঙ্গে গণফোরাম থাকতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলনে ২০২৩ সালে গণফেরামের বিশেষ কাউন্সলে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়েছে- ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের বিরাজমান রুগ্ন রাজনীতির বিপরীতে সুস্থধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার সংক্ষা দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ-রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কুটনীতিবিদ, আইনজীবি, পেশাজীবি, বৃদ্ধিজীবি ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার সচেতন নাগরিকদের নিয়ে গণফোরামের জন্ম হয়েছিল। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আপনাদের নিয়ে পথ চলেছি, জাতীয় সমস্যা ও সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এখন আর সক্রিয়ভাবে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমি সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে, তথা গণফোরাম-এর সভাপতি পদ থেকে, অব্যাহতি নেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।

ওই কাউন্সিল অধিবেশনেই ড. কামাল গণফোরামের সভাপতি হিসেবে মফিজুল ইসলাম কামাল খান-কে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি ঘোষণা করেন এবং এরপর দলের আর কোন জাতীয় কাউন্সিল অনুস্ঠিত হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ