ইজারাদাররা মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছেন: ফরিদা আখতার
প্রকাশিতঃ 1:01 am | November 24, 2024
সিলেট প্রতিনিধি, কালের আলো:
ইজারাদাররা মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছে মন্তব্য করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এতদিন জলমহাল যাদের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছে, তারা অতি মুনাফার লোভে মাছের ক্ষতি করেছেন। যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এজন্য প্রকৃত মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা করা অত্যন্ত দরকার।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরের একটি কনভেনশন হলে ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডার্স কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন তিনি।
মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, যারা মাছ ধরছেন, তাদের ভূমিকা অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। এ পেশায় যারা নিয়োজিত, তাদের প্রতি অনেক অন্যায় করা হয়েছে। মাছ ধরা পেশাকে আধুনিকায়ন করতে হবে, যাতে তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন।
তিনি বলেন, হাওরের মাছ প্রকৃতির দান। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ করে মাছের প্রজননের জন্য নির্দিষ্ট সময় না দিয়ে মানুষ ভোক্তা ও আহরণকারী হিসেবে অত্যন্ত দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
কর্মশালায় উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, হাওরে মাছের গতিপথে অপরিকল্পিত বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণের ফলে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরে দেশীয় প্রজাতিগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে।
মাছের প্রজননকালীন মাছ ধরতে নিষিদ্ধের বিষয়ে হাওর অঞ্চলে বিলবোর্ড ও রেডিও-টেলিভিশনে এ সংক্রান্ত প্রচারণা চালানো যেতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাওর অঞ্চলে মাছ ধরা নিষিদ্ধের পাশাপাশি পর্যটনও সমন্বয় করা যেতে পারে। একই অনুষ্ঠানে তিনি সিলেটের বন্যা মোকাবিলায় কিশোরগঞ্জের ইটনা-মিটামইন-অষ্টগ্রাম হাওরের মধ্য দিয়ে করা সড়ক ভাঙা হবে, বলেও জানান।
কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদসহ হাওর অধ্যুষিত দেশের সাতটি জেলার জেলা প্রশাসক, তাদের প্রতিনিধি, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা, অংশীজনেরা, সাত জেলার মৎস্যচাষিদের বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মৎস্য সম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি বিভিন্ন দাবির কথাও তুলে ধরেন।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ