বাজার নিয়ে আশা নিরাশা

প্রকাশিতঃ 4:12 pm | December 06, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জনগণের প্রত্যাশা ছিল বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে। তবে সে আশা নিরাশায় পরিণত করে বেশিরভাগ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি সপ্তাহে মাছ ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তাও স্বস্তিদায়ক না জানিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের দাবি ক্রেতাদের।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বাজারভেদে দামের তারতম্য রয়েছে। তবে গড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫-১৯৫ টাকা, কক মুরগি ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০-৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের হালি ৫০ টাকা ও ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আকার ও ওজন অনুযায়ী, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৮৫০ থেকে ২২০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ অবস্থায় কাগজ-কলমের হিসাব নয়, বাজারে স্বস্তি ফেরা দরকার বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। আব্দুল হালিম নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি বলেন, বিগত সরকারের অর্থ লুটপাট থেকে শুরু করে আমরা সবই জানি। ব্যাংকসহ সব আর্থিক খাতের অবস্থাও জানি। কিন্তু বাজারে আসলে এ বিষয়গুলো আর মাথায় থাকে না। তখন একটাই ভাবনা সবকিছুর দাম বেশি। সরকার শুধু জিনিসের দামটা নিয়ন্ত্রণ করুক বাকি কিছু কেউ দেখবে না।

চায়ের দোকানি আমিনুল মিয়া বলেন, সব কিছুর দাম বেশি। কে কি করছে সেসব বুঝি না। দাম কমছে না সেটা বুঝি। এখন আলুর দামটা বেশি, ডিমের দাম একটু কমেছে। কিন্তু মুরগির দাম আগের মতোই আছে।

কালের আলো/ডিএইচ/কেএ