বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ

প্রকাশিতঃ 9:12 pm | December 17, 2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আসন্ন শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর আলম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মোঃ আকরাম হোসেন, স্পেশালে ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্মমহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর আলম বলেন, ‘খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে, নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শুভ বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট নিরাপদে সুন্দরভাবে পালিত হবে।’

গুরুত্বপূর্ণ এই সভায় জানানো হয়, শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কৌশলগত স্থানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম এবং সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে। শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা ও আতশবাজিসহ ফানুস উড়ানো যাবে না।

শুভ বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট-কে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হবে। সভায় সারাদশে গীর্জাসমূহের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদেরকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জাসমূহে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় আরও বলা হয়, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের সকল পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ উচ্চ স্বরে গাড়ির হর্ণ বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।

কালের আলো/আরআই/এমকে