মোবাইল না দেওয়ায় হাফেজ কামরুলকে খুন করে ছিনতাইকারীরা
প্রকাশিতঃ 4:12 pm | December 21, 2024
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের ওপর ছিনতাইকারীদের হাতে হাফেজ কামরুল হাসান (২৩) নিহতের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় শাকিল (১৬) ও আশরাফুল (১৭) নামে দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা পেশাদার ছিনতাইকারী।
শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলা এলাকা থেকে শাকিল ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে কামরুল হাসান সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভার দিয়ে হাঁটছিলেন। এসময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে এবং দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে চায়। এতে বাধা দিলে চাকু দিয়ে কামরুলের বুকে আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মফিজুল ইসলাম।
তার দেওয়া তথ্যমতে, হাফেজ কামরুল হাসান বন্ধুদের সঙ্গে সাজেক যাওয়ার জন্য রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফ্লাইওভারের ওপর ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েন। কাছে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা বাঁচাতে তিনি ছিনতাইকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন।
একপর্যায়ে রোহান নাম এক ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে কামরুলের বুকে আঘাত করে। এতে তিনি ফ্লাইওভারের ওপর লুটিয়ে পড়েন। এসময় ছিনতাইকারীরা কামরুলের কাছে থাকা একটি মোবাইল, যার আনুমানিক মূল্য ১১ হাজার টাকা এবং নগদ ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহতাবস্থায় কামরুল হাসানকে উদ্ধার করে ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার কামরুল হাসানের বাবা মো. ইমাম হোসেন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিন রাতেই শাকিল ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি মফিজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। এছাড়া তারা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথাও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কালের আলো/ডিএইচ/কেএ