হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর, ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিতঃ 8:38 pm | January 06, 2025

কালের আলো ডেস্ক:

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর তৈরি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে নতুন এ অধিদফতর। এর মাধ্যমে অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্য ও তাদের পুনর্বাসনে কাজ করা হবে। এর জন্য ৬৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রেল ভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কথা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শহীদ পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৬৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী, ৮২৬ জন শহীদ ও প্রায় ১১০০০ আহত। এই তালিকা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ করা। আগামী সপ্তাহেই প্রাথমিক তালিকা নিয়ে একটা গেজেট প্রকাশিত হবে। এ তালিকা ধরেই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবারকে ৩০ লাখ ও আহতদের ক্যাটাগরি ওয়াইজ ১ থেকে ৫ লাখ দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, জানুয়ারি মাসের ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা আগামী সপ্তাহ থেকে দেওয়া শুরু করবে। বাকি টাকা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেওয়া হবে। প্রথমে শহীদ পরিবারকে ১০ লাখ টাকা (সঞ্চয়পত্র আকারে), আহতদের ক্যাটাগরি অনুসারে নগদ ২ লাখ, দেড় লাখ ও ১ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সামনের অর্থবছরে মাসিক ভাতা পাবে শহীদ পরিবার, আর গুরুতর আহতরা। আগামী সপ্তাহের মধ্যে হেলথ কার্ড পাবেন আহতরা। এ মাসে বিদেশ যাবেন আরও ২১ জন আর ২০০ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নাহিদ বলেন, আমরা তালিকার বিষয়ে খুবই সতর্ক, তাই সময় লাগছে। যাতে পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাঝামাঝি সময়ে যারা আহত হয়েছেন, তাদের ব্যক্তিগতভাবে অনেক খরচ হয়েছে। সেই খরচও গণঅভ্যুত্থান সেল থেকে দেওয়া হবে। তবে উপযুক্ত কাগজ নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সরকারি জায়গা থেকে আহত ও নিহতদের পরিবার যাতে এখন ও পরবর্তী সময়েও সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক।

অনুষ্ঠানে কথা বলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন, তারা ৩১ তারিখের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। নিখোঁজ যারা আছেন, তাদের তালিকা আমরা সংগ্রহ করছি। তাদের মৃত্যুর খবর পেলে আমরা তাদের শহীদদের কাতারে লিপিবদ্ধ করছি। কবরের সন্ধান যেগুলোর পাওয়া যায়নি সেগুলো অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা কাজ করছি।

রায়েরবাজার কবরস্থানে ১৩১টি বেওয়ারিশ কবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান স্নিগ্ধ।

কালের আলো/এএএন/কেএ