অবসাদ গ্রাস করেছিল দীপিকাকে, ভেবেছিলেন আত্মহননের কথাও
প্রকাশিতঃ 1:17 pm | January 08, 2025
বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:
অভিনীত সিনেমা ও চরিত্র নিয়েই সব সময় কথা বলতে দেখা যায় দীপিকা পাড়ুকোনকে। বেশ কিছু সেলিব্রেটি শোতে প্রেম নিয়ে খোলামেলা আলোচনাও করেছেন। কিন্তু ব্যক্তিজীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায়নি এই বলিউড তারকাকে। তাই অনেকে অবাক হয়েছে এই অভিনেত্রীর মানসিক অবসাদের খবর শুনে। ব্যক্তিজীবনের যে বিষয়টি অনেকের অজানা ছিল, সেই অধ্যায় তুলে এনেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
দীপিকা বলেছেন, ‘অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই সাফল্যের দেখা পেয়েছি। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে কুড়িয়েছি অগণিত দর্শকের ভালোবাসা। প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ হলেও কী যেন এক শূন্যতা অনুভব করা শুরু করেছিলাম। আমার জীবনে বড় সমস্যাও ছিল না। তারপরও কেন জানি মনের মধ্যে অজানা আতঙ্ক কাজ করছিল। মনে হতো, ঘুমিয়ে থাকলে জীবনের সব সমস্যা থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। এভাবে ধীরে ধীরে অবসাদ আমাকে গ্রাস করা শুরু করেছিল। শুধু তাই নয়, মানসিক অবসাদে আত্মহননের ভাবনাও মনে ভর করেছিল। সেই সময় মাকে পাশে না পেলে কী হতে পারত, তা ভেবে এখনও চমকে উঠি। তাই মনেপ্রাণে চাই, কখনও যেন আমার মতো কাউকে অবসাদে ভুগতে না হয়।’
সাক্ষাৎকারে দীপিকা তাঁর এই ভয়াবহ অতীত তুলে আনার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিজের পরামর্শও তুলে ধরেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, প্রতিটি সিনেমার সেটে একজন মনোবিদের উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। চলচ্চিত্র শক্তিশালী মাধ্যম। তাই সিনেমাতেও মানসিক স্বাস্থ্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরা উচিত। যদি সিনেমাগুলোয় মানসিক স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বার্তা সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়, তাহলে ভারতের মতো দেশে তার ফলাফল ও প্রভাব দেখার মতো হবে।
দীপিকা আরও বলেছেন, ‘আগামী কয়েক বছরে আমি ব্যক্তিগতভাবে একটা কাজ করতে চাই। ছবির সেটে যেন একজন মনোবিদ উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করব। আমাদের শুটিং সেটে কিন্তু চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মনোবিদ কেন থাকবেন না? এ নিয়ে অবশ্যই নির্মাতাদের ভাবা উচিত। কারণ, জীবনে তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও অবসাদ আসতে পারে।’
কালের আলো/এসএকে