খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪২২ উপজেলায় ওএমএস

প্রকাশিতঃ 11:58 pm | January 09, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:

খাদ্যশস্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ওএমএস নীতিমালা ২০১৫ ও খাদ্যবান্ধব নীতিমালা ২০১৭ সংশোধন করে আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুধু তাই নয়, দেশের সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিতরণ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে এবার ৪২২টি উপজেলায় প্রতিদিন দুই মেট্রিক টন ওএমএসের চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপজেলাগুলোতে মোট ১ হাজার ৭৫২টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে।

এর আগে সাধারণ ওএমএস খাতে সারাদেশে সর্বমোট ১ হাজার ১৩৩টি কেন্দ্রে খাদ্যশস্য বিক্রয় করা হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় দেশের যে কোনো নাগরিক সপ্তাহে একবার সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল ও প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে ৫ কেজি খোলা আটা সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাল ও আটার দাম সহনীয় রাখতে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমদাদ ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হবে। জনপ্রতি ৫ কেজি চাল দেওয়া হবে। আগে মোট ৯০৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগের কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে নতুন ৮৪৪টি কেন্দ্র যুক্ত হচ্ছে। নতুন কেন্দ্রগুলো উপজেলা সদরের বাইরে থাকবে এবং প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

জানা যায়, খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত ধান ও চালের মূল্যের বাজার মনিটরিং করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি অনলাইন সিস্টেম চালু করেছে। দেশের প্রধান প্রধান ধান উৎপাদনকারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাট বাজারের ধান ও চালের রিয়েল টাইম পাইকারি বিক্রয়মূল্যের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ধান ও ধানের বাজার মূল্যের রিয়েল টাইম মনিটরিং নামক আইডিয়াটি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ধান ও চালের হাট বাজার হতে ধান ও চালের পাইকারি বিক্রয় মূল্য সংগ্রহ করে একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইজে সংরক্ষণের লক্ষ্যে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েব ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হয়েছে।

কালের আলো/আরআই/এমএইচ