অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ এসআইদের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান
প্রকাশিতঃ 12:54 pm | January 13, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
লাল সবুজের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই স্লোগান দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে আব্দুল গনি রোডে সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের বিপরীত পাশে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা অবস্থান নিয়েছেন। এ সময় সচিবালয়ের সামনে কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তিকে ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস না পেলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবেন জানিয়ে অব্যাহতি পাওয়া এসআইরা বলেন, ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র সচিব দেখা করে আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা সবাই আজ (সোমবার) আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানান তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া মিনহাজ উদ্দিন অভিযোগ করেন, খুবই তুচ্ছ অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একাডেমি সারদার ইতিহাসে একসঙ্গে এত মানুষের অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে এক বছর ট্রেনিং করেছি মন্তব্য করে অব্যাহতি পাওয়া এসআই অম্লান মিত্র বলেন, আমি ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ট্রেনিংয়ে অংশ নিই। অব্যাহতি দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর। আমাকে বলা হচ্ছে ক্লাসে অমনোযোগী এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। কিন্তু আমি অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় ৮০৪ জনে ১০০ জনের মধ্যে ছিলাম। অমনোযোগী থাকলে তো এমন ফলাফল হওয়ার কথা না। যখন চাকরিতে নিয়মিত হব তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। এর থেকে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে রাজশাহীর সারদায় পুলিশ একাডেমিতে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। তাদের মধ্যে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শোকজ করে একাডেমি। এরই মধ্যে তাদের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কালের আলো/এসএকে