মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়, ৭ ডিগ্রিতে নামল তাপমাত্রা

প্রকাশিতঃ 8:51 am | January 19, 2025

পঞ্চগড় প্রতিবেদক, কালের আলো:

হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের জনজীবন। উত্তরের এই জেলায় আজ সকালে তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে। বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

পৌষের শুরু থেকেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছিল দেশের এই জনপদে। কয়েকদিন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলেও আজ হঠাৎ তা ৭ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ কবলে পড়ল পঞ্চগড়। এর ফলে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

গতকাল পঞ্চগড়ে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আজ সেই তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি কমেছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

তাপমাত্রা আট থেকে দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এছাড়া ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। সে হিসেবে আজ সকালে পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। গতকাল সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এসব তথ্য জানান।

জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সকাল ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। তবে শীত উপেক্ষা করেই অনেককে কাজে যেতে দেখা গেছে। তাদের বেশিরভাগ শ্রমিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, অনেকদিন ধরেই এ জেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। এর সঙ্গে হিমালয় থেকে আসা শীতল বাতাস পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

কালের আলো/এএএন/কেএ