ফেব্রুয়ারি থেকেই চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন ট্রাম্প!
প্রকাশিতঃ 1:04 pm | January 22, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই চীনা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে দশ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে মেক্সিকো ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ও মাদক আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে দেশ দুটি থেকে আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি।
চীনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন যে তার প্রশাসন সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করছে, জানা যাচ্ছে চীন, মেক্সিকো ও কানাডায় ফেনটানিল (প্রচণ্ড ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়) পাঠাচ্ছে।
ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নেও শুল্ক প্রয়োগের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ‘চীন অপব্যবহারকারী। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন খুবই খারাপ আমাদের জন্য।-বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেন। সেজন্যই আমাদের শুল্কের দিকে যেতে হবে। নিজেদের ফিরে পাওয়ার এটাই একমাত্র পথ। ন্যায্যতা পাওয়ার জন্যও এটা একমাত্র উপায়।’
এর আগে সোমবার শপথ গ্রহণের পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সহযোগীদের সঙ্গে থাকা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা এবং তাতে অন্যায্য কিছু থাকলে তা চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে চীনা একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ‘সুরক্ষাবাদ’-এর সমালোচনা করেছেন।
চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং শেসিয়াং যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই বাণিজ্য বিরোধ মেটাতে ‘উইন উইন’ সমাধানের আহ্বান জানান।
এর আগে নিজের নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে শুল্ক বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছেন।
‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শুল্ক আরোপের দিকে এগিয়ে যায় কানাডাও তার জবাব দেবে এবং সবকিছুই আলোচনার টেবিলে আছে।-বলেন তিনি।
অটোয়াও এখন কয়েক বিলিয়ন ডলারের পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কানাডা, চীন ও মেক্সিকো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে তিন শীর্ষ বাণিজ্য সহযোগী দেশ।
শুল্ক হলো ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, এর মাধ্যমে তারা প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, কর্ম সুরক্ষা ও রাজস্ব বাড়াতে পারবেন। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এর কারণে আমেরিকানদের বেশি মূল্য দিতে হতে পারে এবং কোম্পানিগুলো বিদেশিদের পাল্টা পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কালের আলো/এএএন/কেএ