রেড অ্যালার্ট জারি করে অভিযান চললেও কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক: বেবিচক চেয়ারম্যান

প্রকাশিতঃ 8:31 pm | January 22, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর চৌধুরীসংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর চৌধুরী

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের আভিযানিক কার্যক্রমের সময় বিমানবন্দরে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। আভিযানিক ওই কার্যক্রমের সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা না ঘটাতে পারে সে জন্য আমরা সতর্ক ছিলাম।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিস্ফোরক থাকার তথ্য প্রথম আসে এপিবিএন এর কাছে। সেখান থেকে অপারেশন কন্ট্রোল রুমে জানানো হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করি। আমি এয়ার চিফকে বিষয়টি অবহিত করার পরপরই সেখান থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়াও অ্যাভসেকসহ বিমানবন্দরে কর্মরত অন্য সব সংস্থা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনও ধরনের হুমকি এলে আমাদের এরকমই পদক্ষেপ নিতে হয়। আমাদের কাছে একজন যাত্রীর জীবন অনেক মূল্যবান। যদি ওই ফ্লাইটে একজনও যাত্রী থাকতো আমরা একই ধরনের পদক্ষেপ নিতাম। আমরা দীর্ঘ তল্লাশির পরও কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রতিটি যাত্রী সহযোগিতা করেছেন। তাদের কোনও কিছু খোয়াও যায়নি। খুব সুন্দরভাবে এই কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করেছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এপিবিএন এর কন্ট্রোল রুমে পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে এই মেসেজ দেওয়া হয়।’

এ বিষয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর চৌধুরী আরও বলেন, ‘এ ধরনের তথ্য দিয়ে আমাদের একদিকে ব্যস্ত রেখে অন্যদিকে কেউ যেন কোনও অঘটন ঘটাতে না পারে, সে কারণে পুরো বিমানবন্দরজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি ছিল। এ সময় ইমিগ্রেশন-কাস্টম সবকিছুই সচল ছিল। ওঠানামাও স্বাভাবিক ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের এই বিমানবন্দরকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও কোনও কিছু পাওয়া যায়নি, তারপরও ঘটনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ব্যবস্থা রাখবো।’

প্রসঙ্গত, বুধবার (২২ জানুয়ারি) রোম থেকে আসা বাংলাদেশি এক ফ্লাইটে বিস্ফোরক দ্রব্য আছে বলে তথ্য আসে। পরে ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তারা যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। সেই সঙ্গে বিমানে তল্লাশি চালানো হয়। দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টা এই অভিযান চললেও কিছুই পাওয়া যায়নি।

কালের আলো/এএএন/কেএ