বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ বৈষম্যমূলক: বার সভাপতি
প্রকাশিতঃ 2:36 pm | January 23, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে অধ্যাদেশটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট এনেক্স ভবনের মিডিয়া রুমের সামনে এ দাবি জানান তিনি।
ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এই অধ্যাদেশ আইনজীবী সমাজকে হতাশ করেছে। এখানে কোনো আইনজীবী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। আমি এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।
গত ২১ জানুয়ারি ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কাউন্সিল যাচাই বাছাই করে বিচারক নিয়োগের সুপারিশ পাঠাবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। তবে রাষ্ট্রপতি চাইলে কারণ উল্লেখ করে কাউন্সিলের সেই সুপারিশ থেকে কারো নাম ফেরত পাঠাতে পারবেন।
এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর এ অধ্যাদেশের একটা খসড়া সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল।
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ শীর্ষক এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই ও প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
অধ্যাদেশের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করতে এই অধ্যাদেশ অনুসারে উপযুক্ত বাছাই করে করে সুপারিশের জন্য একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে, যার নাম হবে ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সাত সদস্যের এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হবেন প্রধান বিচারপতি। আর কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে থাকবেন আপিল বিভাগে কর্মে প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মে প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্ম বিভাগ (অধস্তন আদালত) থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপারসনের মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল (পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান) এবং চেয়ারপারসনের মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ।
এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে অধ্যাদেশের ৪ ধারায়।
কালের আলো/এসএকে