মুক্তিপ্রাপ্ত ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মিশরে পাঠালো ইসরায়েল, চিকিৎসা শেষে নির্বাসন
প্রকাশিতঃ 8:47 am | January 26, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল থেকে মুক্তি পাওয়া ৭০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মিশরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা শেষে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসিত করা হবে। ফিলিস্তিনি মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত এরা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মিশরের আল-কাহেরা নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইসরায়েল দ্বারা নির্বাসিত ছিলেন এই বন্দিরা। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি চার নারী সেনাকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় জিম্মি করে রাখা হয়েছিল এদের। পরে ওই চারজনের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় নেতানিয়াহু প্রশাসন।
মুক্তি পাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ১২১ জনই ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিলেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিও আছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। তবে, সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিশরের মাধ্যমে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসিত করা হবে। আর অল্প সংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে।
ফিলিস্তিনি বন্দি বিষয়ক কমিটির প্রধান আমিন শুমান এএফপিকে বলেছেন, মিশরে ট্রানজিট করার পর নির্বাসিত বন্দিরা বসবাসের জন্য আলজেরিয়া, তুরস্ক বা তিউনিসিয়াকে বেছে নেবে।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চুক্তির অধীনে এমন ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যারা ইসরায়েলিদের ওপর বিভিন্ন সময় মারাত্মক আক্রমণের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। কিন্তু, মুক্তির পরে তাদেরকে ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
কালের আলো/এসএকে