কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৫, আহত শতাধিক
প্রকাশিতঃ 11:41 am | January 29, 2025
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
ভারতের উত্তর প্রদেশে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় আরও আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পদদলনের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। খবর এএফপির।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হিন্দুদের ছয় সপ্তাহের এ মেলার সবচেয়ে শুভদিন উপলক্ষ্যে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করতে কয়েক লাখ মানুষ প্রয়াগরাজের অস্থায়ী শহরটিতে হাজির হয়েছিল।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে ভক্তরা রাতে অন্ধকারের মধ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক অদৃশ্য নদী সরস্বতীর মিলনস্থল ত্রিবেণীতে ‘পবিত্র’ ডুব দিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।
পদদলনের ঘটনার পর ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলোতে দেখা গেছে, মৃতদেহ স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর লোকজন মাটিতে বসে কাঁদছে, জান বাঁচাতে সরে যাওয়ার চেষ্টা করা লোকজনের মালপত্র একটা কার্পেটের ওপর পড়ে আছে আর কিছু লোক সেখানে কাজ করছে।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দেখেছেন। তিনি নদী তীরের ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়া অনেকগুলো অ্যাম্বুলেন্সের কাছে ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কীভাবে পদদলনের ঘটনাটি ঘটেছে তা পরিষ্কার হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদদলনের ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য ভক্তরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করলে বের হওয়ার একটি পথে ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়িতে আরেকটি পদদলনের ঘটনা ঘটে। তখন তারা সেখান থেকে সরে এসে বের হওয়ার আরেকটি পথের খোঁজে পন্টুন সেতুগুলোর কাছে গেলে দেখেন কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে রেখেছে।
মুম্বাই থেকে আসা রাবিন নামে এক ভক্ত বলেন, “বহু মানুষকে পড়ে যেতে ও ভিড়ের লোকজনকে তাদের ওপর দিয়ে চলে যেতে দেখেছি আমি। বহু শিশু ও নারী হারিয়ে গিয়ে সাহায্যের জন্য কাঁদছিল।”
সঙ্কটজনক পরিস্থিতি চলার সময় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএএফ) একটি বিশেষ ইউনিটকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মোতায়েন করা হয়। উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।
২০১৩ সালের মহা কুম্ভ মেলার সময়ও সবচেয়ে শুভদিন মৌনী অমাবস্যার রাতে ভিড়ের চাপে একই ধরনের পদদলের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ৩৬ জন নিহত হয়েছিলেন।
ভারতীয় চান্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার ছিল মৌনী অমাবস্যা। সনাতন ধনর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, এই তিথিতে প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও স্বরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করলে অশেষ পূণ্য অর্জিত হয়। এ কারণেই মঙ্গলবার সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল।
কালের আলো/এএএন/কেএ