পর্দা উঠলো অমর একুশে বইমেলার
প্রকাশিতঃ 4:33 pm | February 01, 2025
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বহুল কাঙ্খিত অমর একুশে বইমেলার পর্দা উন্মোচন হলো বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হলো মাসব্যাপী এ মেলা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে প্রাণের বইমেলা। এবার সবচেয়ে বড় বইমেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি।
বইমেলায় অংশগ্রহণকারী ৭০৮ জন প্রকাশকের মধ্যে ৯৯টি স্টল বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে, ৬০৯টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণ করা হবে। গত বছর বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
মেলায় ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। একটি বাংলা একাডেমিতে এবং ৩৬টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছে গাছের নীচে থাকবে, তাতে প্রায় ১৩০টি লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন জানান, এ বছরের বইমেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ’।এ সময় তিনি অমর একুশে বইমেলা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনের কাছাকাছি হওয়ায় বহির্গমন গেটটি মন্দিরের গেটের কাছাকাছি সরানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের কাছে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য চারটি পয়েন্ট থাকবে।
ড. সরকার আমিন জানান, মেলার সীমানা বরাবর খাবারের স্টলের আয়োজন করা হবে ও মেলা প্রাঙ্গণে ৩০টি শৌচাগার স্থাপন করা হয়েছে, যা মেলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
পুলিশ, র্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে তিন শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে এবং সব প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ে স্থাপন করা হবে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে; আর ‘বই খোলা’ এবং ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। মূল মঞ্চে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি বাদে শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ‘শিশু প্রহর’। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য শিল্পাচার্য, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বছর অমর একুশে বইমেলা পরিবেশবান্ধব এবং শূন্য-বর্জ্য হওয়ার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সকল অংশগ্রহণকারী এবং বইমেলার অংশীদারদের একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট, কাপড় ও কাগজের মতো টেকসই উপকরণ ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত ও অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রতি কর্মদিবসে সকলের জন্য বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে বইমেলা। দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘন্টা বিরতি থাকবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মেলা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
কালের আলো/এসএকে