বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতার ওপর হামলা
প্রকাশিতঃ 4:56 pm | February 02, 2025
বাগেরহাট প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাগেরহাট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. সাকিবের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই আহত ছাত্র নেতাকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত কে. এম. সাকিব মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘোষিয়াখালী গ্রামের বিল্লাল খলিলাফার বড় ছেলে।
সাকিব বলেন, গতকাল রাতে ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে ঘষিয়াখালী থেকে মল্লিকের বের এলাকায় যাওয়ার জন্য কিছু লোক যান। ঘাটের ট্রলার মালিকরা বলেন, জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করছেন। তখন বিষয়টি জানতে গেলে, জাহিদের লোকজন ছাত্রদল নেতা সাওন, রনি, সবুজ, তুহিন, মারজান ও মো. রাফি আমার ওপর হামলা করেন। তাদের মারধরে আমার মাথা ফেটে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে হামলাকারীরা।
সাকিব আরও বলেন, ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটটি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছিল আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। সরকার পতনের পর বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় আবারও ঘাটে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এর আগেও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল চাঁদাবাজরা।
ঘাটের দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম বলেন, মল্লিকের বাজারে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবদল নেতা রয়েছেন। সাকিব তাকে গালিগালাজ করেছেন। এ কারণেই ছাত্রদলের ছেলেরা সাকিবকে দু-একটা চর-থাপ্পর দিয়েছে। যেহেতু যুবদল নেতা এখন ক্ষমতায়, তাই তার নাম না বলে আমার নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, গতকাল রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কে. এম. সাকিব হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সংকটমুক্ত। আমরা আশাবাদী, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, মারধরের খবর শুনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাকিবকে বাগেরহাট ২৫০ শহর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলায় হওয়ায় কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় আহত সাকিবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা বা অভিযোগ দেয়নি।
কালের আলো/এসএকে