রাষ্ট্রকাঠামোর ধ্বংসপ্রাপ্ত অঙ্গগুলো পুনর্গঠন করা হবে: ক্রীড়া উপদেষ্টা

প্রকাশিতঃ 3:09 pm | February 11, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামোর যে অঙ্গগুলো ফ্যাসিবাদী আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, সেগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবির উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান, তারুণ্যের উৎসব উদযাপন কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

আসিফ মাহমুদ বলেন, সারাদেশে তারুণ্যের উৎসব হচ্ছে।

জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদেশের তরুণসমাজ জাতিকে একটু নতুন স্বপ্ন দেখানোর যে প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, তা সফল করার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। দেশকে পুনরুদ্ধারে তারা যেভাবে আত্মত্যাগ করেছে, দেশ পুনর্গঠনেও তারা একইভাবে তারা এগিয়ে আসবে।

প্রত্যেকটি সেক্টরে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেবে এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

এই অভ্যুত্থানের বাংলাদেশে মানুষকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি স্বপ্ন দেখিয়েছে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাবনা পেশ করেছে। অংশীজনদের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে সেই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামোর যেই অঙ্গগুলো বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, সেগুলো পুনর্গঠন হবে। এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিকে অগ্রসর হবে।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচারের এজেন্ডা এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটানোর যেই দায়িত্ব নিয়েছে, সে দায়িত্বে দেশবাসীর সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। দেশের জনগণ একটি রক্তক্ষয়ী গণভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছে। কোনো প্রকারের রক্তপাত হয়নি। দেশের আইন ও বিচারের প্রতি যে শ্রদ্ধা দেখিয়েছে, সেখান থেকে আমরা আশ্বস্ত হতে পারি, এদেশের জনগণ দেশ পুনর্গঠনেও তারা ধৈর্য প্রদর্শন করবে এবং সহযোগিতা করবে।

ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, দলান্ধ হিংস্র বিভাজনের রাজনীতির খারাপ দিক হচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া। জনপ্রশাসনের বিরুদ্ধে এনজিওদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এনজিওদের। এভাবে আমরা ক্ষতি করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। আমরা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। যদি গভীর ও নিগূঢ় বাধা তৈরি করা হোক না কেন, বাংলাদেশ উঠে দাঁড়িয়েছে। যথেষ্ট বিভাজন হয়েছে, আর নয়।

কালের আলো/এমডিএইচ