প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায় : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 2:05 pm | March 25, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ দিবস আমরা আগামীকাল উদযাপন করব। বাংলাদেশের মানুষের একেবারে গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে, উন্নত হবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাক। যেটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল, স্বপ্ন ছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা স্বাধীনতার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু ১৫ই আগস্ট আমাদের সেই সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

সোমবার(২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল, আমরা লাখো মানুষ হারিয়েছি। কাজেই এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সেটার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি এ অর্থবছরে আট ভাগ অর্জন করতে যাচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার অর্জন করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আজকে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আমাদের শিল্প, কলা, সাহিত্য, গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের আমরা স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে পেরেছি, এটা আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। গুণীজনকে আমরা সম্মান দিতে পেরেছি। তবে আমরা জানি এ রকম আরও অনেকজন রয়ে গেছেন, সবাইকে হয়তো আমরা দিতে পারছি না।

এর আগে মানুষের কল্যাণে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৩ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

কালের আলো/এমএইচএ