‘প্লাস্টিক রিসাইকেলে ট্যাক্স নয়, প্রণোদনা দেওয়া উচিত’

প্রকাশিতঃ 2:22 pm | February 13, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিএসআর প্রতিষ্ঠান টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান বলেছেন, প্লাস্টিক সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে এটি ব্যবস্থাপনায়। প্লাস্টিক রিসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়ার জায়গায় উল্টো ট্যাক্স বসানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে নীতিসহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্লাস্টিক কনফারেন্সে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) এবং হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইয়োকার্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে মেলাটির আয়োজন করেছে।

বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন।

টেল প্লাস্টিকের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, যার হিরো হওয়ার কথা ছিল সে এখন ভিলেন। প্লাস্টিক হওয়ার কথা ছিল হিরো কিন্তু প্লাস্টিক উৎপাদনকারীরা হয়ে গেছে ভিলেন। আগে তামার যুগ ছিল, পিতলের যুগ ছিল, তেমনি এখন হচ্ছে প্লাস্টিকের যুগ।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক সমস্যা না বরং এটা একটা সমাধান। তবে এটাকে আমরা ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়ন করছি ফলে প্লাস্টিক উৎপাদনকারীদের দোষারোপ করে হচ্ছে যে দূষণের জন্য তারাই দায়ী। আমি যদি আমার কথাই বলি আমার শরীরে পাঁচ কেজি প্লাস্টিক আছে। চশমা, স্যুট, প্যান্ট, জুতা, শার্ট, মোবাইল সব জায়গায় প্লাস্টিক আছে। কিন্তু দিন শেষে মনে করা হয় গৃহস্থালির ব্যবহার্য জিনিসপত্র যারা বানায় তারাই কেবল দূষণ করে। এর কারণে কিন্তু আমরা নানা জটিলতায় পড়ি।

তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা প্লাস্টিক নয়, এর ব্যবস্থাপনা। সোর্স স্যাগরিকেশন না থাকার কারণে রিসাইকেল করার ক্ষেত্রে ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে আরও রিসাইকেলাররা এই সেক্টরে আসার ইচ্ছা করলেও আসতে পারছেন না। এটাকে সর্টিং, ক্লিনিং, প্রসেসিং, ওয়াশিং, ক্লিনিং করতে হয়। কিন্তু রিসাইকেল যারা করছেন তাদের প্রণোদনা না দিয়ে উল্টো ট্যাক্স বসানো হচ্ছে। এটা যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। এক্ষেত্রে নীতিসহায়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কম্পিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর (যুগ্মসচিব) শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লুনা প্লাস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম কামাল উদ্দিন, বিটাকের পরিচালক মো. জালাল উদ্দীন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মাসুদ সিদ্দিকীসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, আরএফএল সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে এবং রিসাইকেল করে।

কালের আলো/এএএন/কেএ