‘ইসরায়েল কথা রাখলে’ শনিবার মুক্তি দেওয়া হবে জিম্মিদের
প্রকাশিতঃ 4:41 pm | February 13, 2025
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/israel-20250213161035.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাক— এমনটা চায় না ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, চুক্তিটি রক্ষায় কাজ করছে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো।
সূত্রটি জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েল যদি চুক্তির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তাহলে আগামী শনিবার হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি যেন সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করা যায়, সেটি নিশ্চিতে ইসরায়েলের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করছে মধ্যস্থতাকারীরা। যারমধ্যে রয়েছে, মানবিক চুক্তিগুলো পুরোপুরি মানার বিষয়টি।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে গত ১৯ জানুয়ারি হামাসের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ওই সময় তাদের মধ্যে চুক্তি হয়, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি গাজায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ ও ভারী সরঞ্জাম প্রবেশে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। তবে দখলদাররা তাদের কথা রাখেনি। চুক্তি অনুযায়ী, যে পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছানোর কথা ছিল, সেগুলো আসেনি। এছাড়া ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য গাজায় ভারী সরঞ্জাম প্রবেশের কথা ছিল। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও এখনো এ ধরনের কোনো যন্ত্র গাজায় ঢোকেনি। এমনকি গাজায় আরও শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
চুক্তি লঙ্ঘনের জেরে গত সোমবার হামাস ঘোষণা দেয়, তারা শনিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। তাদের এ ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতিটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। তবে এটি যেন ভেস্তে না যায় সেজন্য কাজ শুরু করে মধ্যস্থতাকারীরা।
একটি সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন, ইসরায়েল আজ বৃহস্পতিবার থেকে একটি নতুন মানবিক প্রটোকল শুরু করবে।
অপর একটি সূত্র বলেছে, “হামাস মিসরের কর্মকর্তাদের কাছে নিশ্চিত করেছেন, শনিবার ষষ্ঠ জিম্মি বিনিময় হবে যদি ইসরায়েল তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।”
প্রথম সূত্রটি জানিয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারে কথা দিলেই অস্থায়ী বাড়ির অংশ, তাঁবু, জ্বালানি, ভারী যন্ত্রপাতি, ওষুধ এবং হাসপাতাল সংস্কারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গাজায় প্রবেশ করা শুরু করবে।
সূত্র: এএফপি
কালের আলো/এমডিএইচ