ডিএনসিসিতে যোগ দিলেন নতুন প্রশাসক, নাগরিক বৈষম্য নিরসনের ঘোষণা

প্রকাশিতঃ 11:42 am | February 14, 2025

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ যোগদান করেছেন। প্রথম কার্যদিবসে বস্তিবাসী ও হরিজনদের প্রতিনিধির সঙ্গে সভা করেন তিনি। এসময় তিনি বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট হচ্ছে বৈষম্য দূর করার স্পিরিট। ঢাকার বাসিন্দাদের মাঝে নাগরিক জীবনের বৈষম্য দূর করার কাজ হবে আমার অগ্রাধিকার। আমি সকলকে নিয়ে এই পরিবর্তনের কাজ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসির প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে গুলশান নগরভবনে তার প্রথম কর্মদিবসে মহাখালী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের ও হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সাথে সভা করেন। সভায় ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিতে বসবাসকারী নিম্ন আয়ের ও হরিজন সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন।

সভায় ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সকল অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি ন্যায্য নগর গড়তে চাই। আমি নিশ্চিত করতে চাই নগরের সবচেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষটিও তার নাগরিক সেবা পাবে। আমি বিশ্বাস করি নগরের সকলের জন্য প্রাপ্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত করাই জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট।

এর আগে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দুপুরে রায়েরবাজার বধ্যভূমির স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের গণকবর জিয়ারত করেন।

কবর জিয়ারত শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বিকেলে গুলশানস্থ নগরভবনে ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিএনসিসির সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে সভা করেন।

সভায় ডিএনসিসির প্রশাসক ডিএনসিসির কবরস্থানগুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার এবং কবরস্থানের লাইটগুলো সচল করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।

এসময় রায়েরবাজার কবরস্থানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কবরগুলো নির্দিষ্ট করতে নামফলক স্থাপনের নির্দেশনা দেন তিনি।

সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতি. দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

কালের আলো/এমডিএইচ