এভাবে চলতে থাকলে তো শোবিজের অবস্থা খারাপ হবে : মিম

প্রকাশিতঃ 11:35 am | February 23, 2025

বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৭ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বিনোদন জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপনে কাজ করে গেছেন।

২০২২ সালে প্রেমিককে বিয়ে করে পা রাখেন দাম্পত্য জীবনে। সদ্যই মালদ্বীপে ভালোবাসা দিবস কাটিয়ে এসেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। দেশে ফিরে করেছেন বিজ্ঞাপনচিত্রের ফটোশুট। নতুন ছবির শুটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়েছে।

কাজ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন সুদীপ কুমার দীপ।

মালদ্বীপ ভ্রমণ কেমন হলো?

আর বলবেন না। অনেকে মনে করছে, স্বামীকে নিয়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে গিয়েছিলাম। আসলে তা নয়।

বার্জার পেইন্টস-এর একটি ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে দেশটিতে গিয়েছিলাম। ওরা সিলেক্টেড পাঁচ দম্পতিকে নিয়ে একটি ট্যুরের আয়োজন করেছে। সেখানে আমাকেও গেস্ট করা হয়েছিল। ভাবলাম, একা যেয়ে আর কী হবে! সনিকেও (স্বামী সনি পোদ্দার) নিয়ে গেলাম। একসঙ্গে ঘোরা হলো আবার কাজটাও হলো।

কত দিন ছিলেন সেখানে?

১১ ফেব্রুয়ারি গিয়েছিলাম, ফিরেছি ১৬ ফেব্রুয়ারি। ছয় দিনের ট্যুর। সেখানে সনির সঙ্গে বেশ কয়েকটি ফটোশুট করেছি। একটির অংশবিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। আরো বেশ কয়েকটি গ্ল্যামারস শুট আছে। সেগুলো বার্জারের পেজে ছাড়া হবে আগে।

এবার ভালোবাসা দিবসে আপনার কোনো কনটেন্ট আসেনি। মন খারাপ হয়েছে?

মন তো খারাপ হয়ই। তবে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করছি। একসময় সব মাধ্যমেই কাজ করতাম। নাটক, ওয়েব, সিনেমা, বিজ্ঞাপনচিত্র—কোনো না কোনো শুটিং লেগেই থাকত। এখন সেটা হচ্ছে না। নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়মিত পাই, তবে করছি না। এই সিদ্ধান্ত তো পাঁচ বছর আগের। অপেক্ষায় আছি ওটিটির, ভালো গল্প পেলে করব। এখন বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংই করছি নিয়মিত। গত বৃহস্পতিবার সেইলরের একটি শুট করলাম। শুক্রবার মাছরাঙা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলাম। এভাবেই চলছে।

গত বছর কয়েকটি চলচ্চিত্র চূড়ান্ত করেছিলেন। সেগুলোর শুটিং হবে কবে?

কিছু বলতে পারছি না। নির্মাতারা আমার সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরাই গল্প শোনান, সহশিল্পীদের নির্বাচন করেন। দুটি চলচ্চিত্রের শুটিং এ বছরের শুরুতে হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্মাতারা পরে জানালেন, হঠাৎ প্রযোজক পিছিয়েছেন। এই মুহূর্তে লগ্নি করতে চাচ্ছেন না। এখন নতুন প্রযোজকের সন্ধানে আছেন তাঁরা। জানি না, নতুন প্রযোজক কত দিনে চূড়ান্ত হবে! করোনা আমাকে অপেক্ষা করতে শিখিয়েছে, এখন সেটা কাজে লাগছে। দেখি কী আছে সামনে!

‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ কবে মুক্তি পাবে?

নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আমার দুই দিনের ডাবিং বাকি আছে। শুনেছি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ সম্পাদনার কাজও বাকি। এটা নির্মাতা বলতে পারবেন। মনে হচ্ছে না খুব শিগগির ছবিটি আসবে।

রায়হান রাফীর সঙ্গে ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’-এর পর আরেকটি ছবি হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। ছবিটির কি সম্ভাবনা আছে?

সত্যিই এই ব্যাপারে কিছু জানি না। রাফী ভাইয়ের সঙ্গে কিন্তু অনেক দিন আমার ছবি নিয়ে কথা হয় না। কেউ যদি এটা বলে থাকে তাহলে নিছক ধারণা থেকে বলেছে। এমন কিছু হলে আমরা জানাব।

ঈদেও কি আপনার অভিনীত কোনো ছবি বা ওটিটি কনটেন্ট আসবে না?

না। আমি কিছু করিনি এখনো। তেমন পছন্দসই কিছু হলে তো করতামই। এখন কি তেমন কাজ হচ্ছে বলেন? ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোও তো দেখছি কাজ কমিয়ে দিয়েছে। এই ভালোবাসা দিবসেও দেখলাম নাটকের কনটেন্টগুলোও তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। এভাবে চলতে থাকলে তো শোবিজের অবস্থা আরো খারাপ হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।

ঈদে তাহলে কী করবেন?

ঈদের দিন কাতারে একটি শো আছে। সেটাতে অংশ নিতে যাব ঈদের দুই দিন আগে। শো শেষে দেশে ফিরে পরদিন আবার পরিবার নিয়ে যাব ব্যাঙ্কক। অবকাশযাপনে সেখানে কিছুদিন থাকব। এখন পর্যন্ত এটাই পরিকল্পনা। আরো কিছু যুক্ত হতে পারে।

কালের আলের/এসএকে