জোরেশোরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: সিইসি

প্রকাশিতঃ 1:59 pm | February 24, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো: 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জোরেশোরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আযোজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা জোরে শোরে প্রস্তুতি শুরু করেছি।

এক্ষেত্রে সরকার থেকে ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মধ্যে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। জুনে তো কথা যাবে না। করলে হয়তো এপ্রিলে করতে হবে। তবে আমরা মিনিমাম সময় ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তিনি বলেন, সরকার ঐক্যমত কমিশন করেছে। যার মেয়াদ ছয় মাস। তাহলে মিনিমান সংস্কার যদি হয় তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে। আর ডিসেম্বরে করতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এখন ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ভোটার তালিকা যদি সুষ্ঠুভাবে না হয় তাহলে তো আগের মতোই কবর থেকেই এসে ভোট দিয়ে যাবে। আমি অবাক হয়েছি যে এ পর্যন্ত ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে ইতিমধ্যে তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে। এরাই কবর থেকে এসে ভোট দিয়েছে গণমাধ্যমে যে খবর আসতো। এই সংখ্যা আরো বাড়বে।

সিইসি বলেন, অনেক নাগরিক রিলিফের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবে রোহিঙ্গা হচ্ছে। কাজেই এটা একটা জটিল পরিস্থিতি।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার পাশাপাশি অন্যান্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনে অনেক আবেদন এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে সরকারকে আইনটি সংশোধনেন প্রস্তাব দিয়েছি। এখন সংস্কার কমিশন না হলেও তো আমাদের মিনিমাল হলেও সংস্কার করতে হতো। সেটা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন হোক, আর সীমানা নির্ধারণ হোক, সেটা আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগের ভালো ছাড়া পত্রপত্রিকায় ভালো ছাড়া খারাপ খবর আসতো না। এখনো তো প্রকৃত খবর আসে। সোশ্যাল মিডিয়ার আচরণ বিধি করবেন এমন বিষয় আসছে। ইতিমধ্যে অনেকেই প্রচার শুরু করেছে। তফসিলের আগে থেকেই কিন্তু হবে। চরিত্র হণনও কিন্তু চলতে থাকবে। এটা যাতে না হয়, কিভাবে জনসচেতনা সৃষ্টি করা যায়, গণমাধ্যম এতে ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য সাহায্য চাই। একটা গুজব রটিয়ে দিল ভোট সেন্টারে যে, দুষ্টুমিকে মারামারি বা একজন আরেকজনের কলার ধরল, এটা মারা গেছে বলে চালিয়ে দিল। কাজেই এতে গণমাধ্যমের পরামর্শ ও সহায়তা চাই।

ঐক্যমত কমিশন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে এক্যমতে পৌঁছবে এটা আমরা মনে করি না। একটা রাজনৈতিক ঐক্যমত হতে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন সবাই চায়। এই একটা পয়েন্টের পুরো জাতিই এক। সব দলের নিজস্ব দৃষ্টি আছে। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। গণতন্ত্র মানে হলো ভিন্নমত, ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি, ভিন্ন চাহিদা থাকবে। যাই হোক আমাদেন প্রস্তুতি থেমে থাকবে না। আগে একেক কমিশনার এক রকম লিখতো। আমাদের সবার চিন্তা, মানসিকতা এক। আমাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা নাই। অন্যের এজেন্ডাও নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কাজ করছি।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে সিইসি বলেন, ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ না দিলে, যারা ভোটার হননি তাদের বাদ দিলে স্থানীয় নির্বাচন আগে করা সম্ভব। এখন আমাদের ভোটার লিস্ট চুড়ান্ত হবে জুন মাসের শেষে। এখন সুষ্ঠু ভোটার করার জন্য বাড়িবাড়ি যাচ্ছি। এখন ডাটা এন্ট্রির কাজ চলছে। আমরা যথা সম্ভব ব্যবস্থা রাখছি। যাতে ভুলটা মিনিমান হয়। ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাবো। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জুনের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন করেছেন। যখন স্বচ্ছ ভোটার লিস্ট করতে পারবো তখন আমরা বলতে পারবো নির্বাচনের কথা। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিচ্ছি। রাজনৈতিক বিতর্কে আমরা জড়াতে চাই না।

রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইটিআই মহাপরিচালকসহ আয়োজ সংগঠনের নেতুবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমডিএইচ