বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পিত শক্তি ভারত

প্রকাশিতঃ 8:34 pm | February 25, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা আছে সেটা এখনও স্পষ্ট করে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের। তিনি বলেছেন, ইশারা ইঙ্গিতে এবং নানা তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে এটা পরিষ্কার করে বোঝা যায়, এটা তাৎক্ষণিক সেসময়ের কোনো দুর্ঘটনা না। কারণ ডালভাতের কর্মসূচির বৈষম্যের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এতো উচ্চ পর্যায়ের এতোগুলো সৈনিককে হত্যা করার ঘটনাটি স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হতে পারে না। কিছু মারা যেতে পারতো, দুই চারজনকে গুলি করে দিতে পারতো। কিন্তু ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা, এর পেছনে নিশ্চয়ই বড় কোনো পরিকল্পনা আছে। সেই পরিকল্পিত শক্তি ভারত। পরিষ্কার করে বলতে চাই এ ঘটনায় ভারত জড়িত।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কর্তৃক ‘২০০৯ সালে পিলখানায় দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, ভারতের এই দেশীয় যে সংস্করণ, ভারতীয় বাংলাদেশীয় এজেন্ট বললে কভার হয় না; ভারতীয় এখানকার যে প্রক্সি তাদের মাধ্যমেই এটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর কারণ উদ্দেশ্য না বললেও আমরা জানি। এখন আমরা যেটা মনে করি যে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন হয়েছে সেটার যে চেয়ারম্যান তিনি ওয়াদা করেছেন যে তিনি যথাযথভাবে সত্য উদ্‌ঘাটন করবেন। এবং সঠিক তথ্যের মাধ্যমে দোষীদের যার যতটুকু দোষ আছে সেভাবে সঠিক বিচার উনি করবেন। আমরা চাই তার বক্তব্য সত্য প্রমাণিত হোক। তবে একটি কথা দাবি করি, এটার জন্য আর সময় নেয়ার কোনো সুযোগ নাই।

পজিটিভ পলিটিক্স করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর জন্য না, দেশের জন্য আজ আমাদের পরিবর্তন দরকার। এই দেশে পরিবর্তন আনতে হবে। এবং সেটা পজিটিভ পলিটিক্স। অন্যকে গালি দিয়ে রাজনীতিতে মানুষের হৃদয় অর্জন করা যায় না। রাজনীতি একটা উন্নতমানের কাজ। এখানে গালি আসবে কেন? মিথ্যাচার আসবে কেন? এখানে কারও দাবি আদায়ের জন্য হিংস্রতর শক্তির প্রয়োগ হবে কেন? এইসব জিনিসই আজ বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। সবাইকে আহ্বান জানাবো এগুলো পরিহার করার জন্য।

ঐক্যের বিকল্প নেই উল্লেখ করে জামায়াত নেতা বলেন, ছয় মাসের ব্যবধানে এখন আবার মনে হচ্ছে, আজকে আমরা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। আমরা মনে করি বাংলাদেশ যদি আজ সঠিক লক্ষের দিকে আগাতে হয় তাহলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের সব মানুষের রাজনীতি করার অধিকার আছে, আজ একটা নতুন দল আত্মপ্রকাশ করছে বলে আমরা শুনছি। তাদেরকেও অভিনন্দন জানাই।

চরিত্রবান দেশ প্রেমিক আত্মত্যাগী সাহসী নেতৃত্ব প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জন্য স্বাধীনতা স্বার্থে ও সার্বভৌমত্ব, কার্যকর গণতন্ত্র, সুস্থ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, প্রবাদ নির্বাচন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও নৈতিকতা ও আলোকিত সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া এ ছয়টি বিষয় প্রয়োজন। এই ছয়টি বিষয় নিয়ে কারও দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এসময় দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এসএকে