যারা মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না তারা রাষ্ট্রদ্রোহী : গয়েশ্বর

প্রকাশিতঃ 9:15 pm | February 25, 2025

গাজীপুর প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না তারা রাষ্ট্রদ্রোহী। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি ময়দানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রা পথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে এ সমাবেশ করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা নির্বাচনের কথা শুনি না।

সকাল বিকাল সংস্কারের কথা শুনি। ১৭ বছর যাবৎ সংস্কারের কথা শুনছি। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সংস্কার শুরু করেছে। সেই সংস্কারের যা অসমাপ্ত আছে সেটা সমাপ্ত করার দায়িত্ব কি এই সরকার নিয়েছে কিনা আমি জানি না।

তবে আমার মনে হয় এ সংস্কারটা একটা কুসংস্কার। এ সংস্কার মানে বিরাজনীতি করণ, এ সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমাদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার, গণতন্ত্রের মূলধন যা বলেন সব সাজে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করছি নির্বাচনের জন্য। এটা নতুন কোনো দাবি না।

মাঝখানে জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, না জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সেটা বিরাট প্রশ্ন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকারের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটি পার্লামেন্ট, একটি সরকার। সেটি এখনো হয়নি।

আমরা আন্দোলন করেছি একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের জন্য। জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য।

গয়েশ্বর আরো বলেন, জুলাই ২৪ তারিখ থেকে ৫ আগস্ট ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে নেমেছিল আমরা তাদেরকে প্রথম দিনই নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। পরে আমরাও সর্বাত্মক আন্দোলনে করেছি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলন। সদস্যসচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ূন কবির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শাফিন।

কালের আলো/এসএকে