থাইল্যান্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে শিক্ষাসফরের বাস, নিহত অন্তত ১৮

প্রকাশিতঃ 1:28 pm | February 26, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন। আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। যাত্রীবাহী একটি বাস ব্রেক ফেইল করে উচু রাস্তা থেকে নিচে পড়ে গেলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

বাসটির আরোহীরা সবাই শিক্ষার্থী এবং তারা শিক্ষাসফরে ছিলেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, বুধবার থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে একটি ট্যুর বাস ব্রেক ফেইল করে খাদে উল্টে যাওয়ার পর অন্তত ১৮ জন নিহত এবং আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

কর্নেল সোফোন ফ্রামানেহে বলেন, “এটি ওপর থেকে নিচে নেমে আসার রাস্তা ছিল ও বাসটির ব্রেক ফেইল হয়েছিল এবং গাড়িটি উল্টে যাওয়ার আগে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।”

তিনি আরও বলেন, যারা মারা গেছে তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিক্ষাসফরে যাচ্ছিলেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বাসে ৪৯ জন আরোহী ছিলেন। চালকসহ সকলেই ছিলেন থাই নাগরিক।

দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৫৫ কিমি (৯৬ মাইল) পূর্বে প্রচিনবুরি প্রদেশের ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখা যাচ্ছে।

এদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কিনি বলেছেন, “দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে বা যানবাহনের বেপরোয়া ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দুর্ঘটনা রোধ করতে এবং আবারও এই ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়া কমাতে কোনও যানবাহন ব্যবহার করার আগে সেগুলোর পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপদ বলে ঘোষিত হতে হবে এবং নির্দিষ্ট মানগুলোও পাস করতে হবে।”

থাইল্যান্ডে যানবাহনের নিরাপত্তা মানদণ্ডের দুর্বল প্রয়োগ এবং রাস্তার খারাপ রক্ষণাবেক্ষণের কারণে দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা বেশ সাধারণ। ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭৫টি সদস্য দেশের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি নবম স্থানে রয়েছে।

গত বছর দেশটির একটি স্কুল বাসে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন লেগে ১৬ শিক্ষার্থীসহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কালের আলো/এসএকে