চবি প্রতিবেদক, কালের আলো:

হর্ণ বাজানো অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং বেআইনি মন্তব্য করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, এ দেশের মানুষ জানেও না যে, হর্ণ বাজানো বেআইনি। তাই প্রথমে চাপিয়ে না দিয়ে মানুষের মাথায় এটা দিতে হবে যে, হর্ণ বাজানো খারাপ কাজ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘চট্টগ্রাম গবেষণা ও উদ্ভাবন মেলার’ উদ্বোধন পর্বের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই মন্তব্য করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির সার্বিক সহযোগিতায় এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রচণ্ড রকমের হর্ণ বাজছে। আমরা ঢাকায় কিছু কাজ করেছি, আমি আশা করবো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যদি আপনারা এই কাজটি করতে পারেন। তারপর ক্রমশ চট্টগ্রামের প্রধান সড়কে করতে পারেন, তাহলে মানুষের মাথায় অন্তত ঢুকবে হর্ণ বাজানো অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং বেআইনি।

এ সময় উপদেষ্টা আরও বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় যখন গবেষণা করে বলে লইট্টা শুটকির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক আছে, তখন কেন আমার বিশ্ববিদ্যালয় বাচ্চাদেরকে বলে না যে, তোমরা আর প্লাস্টিক নেবে না? কেন এখানে পলিথিন শপিং ব্যাগ থাকবে? কেন আমরা পর্যাপ্ত বিকল্পে যাব না? গবেষণা শুধু বই আর পাবলিকেশনে সীমাবদ্ধ থাকলে তা মানুষের কাজে আসবে না।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন, ঢাবি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন, বুয়েট অধ্যাপক ড. তারিক আরাফাত, গুগলের সেরা বিজ্ঞানী পদকপ্রাপ্ত গবেষক ড. ইয়াসির খান, জনাব এম. নূরুল আলম ও সাদাফ সাজ সিদ্দিকী।

বিজ্ঞান মেলায় ‘জামাল নজরুল ইসলাম স্মারক বক্তৃতা’ উপস্থাপন করেন ঢাবির পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্ভাবনা পরিবেশন করেন বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তারিক আরাফাত।

এই গবেষণা মেলায় প্রায় ১২০টির অধিক স্টলে গবেষণাকর্ম ও বিগত বছরের গবেষণায় অবদানসমূহ তুলে ধরা হয়। চট্টগ্রামের স্কুলসমূহের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ক্ষুদে গবেষক’ পর্ব, হাইলাইটেড রিসার্চ টক ও শিশু-কিশোরদের রোবট-শো প্রদর্শন করা হয়।

এ ছাড়া ‘রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’-এ সেরা গবেষক সম্মাননা, উদীয়মান গবেষক পুরস্কার, সেরা নারী গবেষক অ্যাওয়ার্ড, সেরা গবেষণা প্রকল্প, সর্বোচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর গবেষণা, সেরা গবেষণা শিক্ষার্থী, সেরা বই প্রকাশনা এবং সেরা উদ্ভাবনসহ মোট আটটি ক্যাটাগরিতে পদক প্রদান করা হয়।

কালের আলো/এএএন/কেএ