যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সৃষ্টি : ট্রাম্প

প্রকাশিতঃ 11:14 am | February 27, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি ইইউ বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এমন অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ “খুব শিগগিরই” আরোপের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ইইউয়ের কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং ২৭-সদস্যের এই ব্লকের দেশগুলোর পণ্য রপ্তানির ওপর “খুব শিগগিরই” ২৫ শতাংশ শুল্ক বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে শোষণ করার জন্য ইইউ গঠিত হয়েছিল। এটিই ইইউয়ের উদ্দেশ্য এবং তারা সেই কাজটি বেশ ভালোভাবে করেছে। কিন্তু এখন আমি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট।”

গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সত্যিই বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে। তারা আমাদের গাড়ি গ্রহণ করে না। তারা আমাদের খামারের পণ্যগুলোও গ্রহণ করে না। কেন করে না তার পেছনে তারা বিভিন্ন ধরনের কারণ দেখায় এবং আমরা সেগুলোর সবকিছুই মেনে নিই এবং আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে (বাণিজ্যে) প্রায় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি রয়েছে।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “গাড়ি এবং অন্যান্য সমস্ত জিনিসের ওপর” নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সফরের আগে ট্রাম্প গত সোমবার হোয়াইট হাউসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে আতিথ্য দেওয়ার ও বৈঠক করার পর তার পক্ষ থেকে এসব মন্তব্য সামনে এলো। মূলত ইইউ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার।

ইইউয়ের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানির পরিমাণ ৩৫০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে এই ব্লক থেকে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির পরিমাণ ছিল ৫৫৩.৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মোটামুটি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাস্প গত ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যাতে আমদানি শুল্ক মেলানোর জন্য অন্য দেশগুলোর ওপর “পারস্পরিক শুল্ক” বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কালের আলো/এমডিএইচ