কুমিল্লায় লেবু-শসার দাম পাঁচ গুণ, সংকট সয়াবিন তেলে
প্রকাশিতঃ 12:41 pm | March 01, 2025

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিবেদক, কালের আলো:
রমজানকে সামনে রেখে কুমিল্লায় লেবু ও শসার ‘আকাশছোঁয়া’ দাম। দুই দিনের ব্যবধানে এই দুটি পণ্যের দাম বেড়েছে পাঁচ গুণ। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর নিউমার্কেট, বাদশা মিয়ার বাজার, রানীর বাজার, রাজগঞ্জ, চকবাজার টমছমব্রিজসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লেবু প্রতি হালি ১৫০-১৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। দুই দিন আগে এই লেবুর দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা হালি। শসা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। দুই দিন আগেও শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা।
বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, একটি চক্র রমজান সামনে রেখে অল্প দামে লেবু এবং শসা কিনে মজুদ করে রেখেছিল। এখন চক্রটি পাঁচ গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে।
রাজগঞ্জ বাজারের ক্রেতা জাকির হোসেন ও টমছম ব্রিজ বাজারের আবু রায়হান জানান, দুই দিন আগেও লেবুর প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার বাজারগুলোতে লেবু ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় হালি এবং শসা ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের ক্রেতা মোসলেম উদ্দিন ও আবদুল জলিল মিয়া জানান, বাজারে লেবু এবং শসার দাম পাঁচ গুণ বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। সিন্ডিকেট করেই এসব করা হচ্ছে। প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি নেই। মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
রাজগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা আলেক মিয়া বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনার কারণে খুচরা বাজারে লেবু-শসা একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবে বাড়তি দাম দিলে গুদাম থেকে দু-এক বোতল করে বের করে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
চকবাজারের নিহার স্টোরের মালিক সুনীল সাহা বলেন, সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি দাম আদায় করছেন বিক্রেতারা। কোনো দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া গেলে সেখানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম রাখা হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারে আমাদের ভিজিল্যান্স টিম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মনিটরিং করছেন। যারা অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কালের আলো/এসএকে