এনসিপিকে স্বাগত জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা, প্রত্যাশার বাস্তবায়ন চায় জনমানুষ
প্রকাশিতঃ 6:42 pm | March 01, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার (ফেব্রুয়ারি ২৮) বিকেলে আত্মপ্রকাশ করে তরুণদের নতুন এই রাজনৈতিক দলটি। নতুন রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের প্রায় অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং দলের শীর্ষ নেতারা। দেশের রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, বহু দল এবং বহুমতের সমন্বয়েই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র গড়ে উঠবে।
যে গণতন্ত্রে দেশের প্রতিটা মানুষের স্বার্থে কাজ করবে রাজনৈতিক দলগুলো। তরুণদের গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দেশের গণতন্ত্রকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে সেও প্রত্যাশাও অনেকের। বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণ নেতৃত্বের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অপরিসীম, সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন দেখতে চায় জনমানুষ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু নতুন গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, যে কোন সম্প্রদায়, গোষ্ঠী এবং ব্যক্তি রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগও নিতে পারে। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং কর্মসূচি যখন জনগণের মধ্যে প্রচারিত হবে, সেসব যদি জনগণ গ্রহণ করে, তখনই একটা রাজনৈতিক দলের সার্থকতা। স্বাভাবিকভাবেই যখন একটা নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে তাদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নতুন কোন রাজনৈতিক দল হলে আমি সব সময় মনে করি সেটা অভিনন্দনযোগ্য। রাজনীতি যত প্রসারিত হবে ততই মঙ্গল, সেদিক থেকে নতুন দল হওয়ায় আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই।
গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা এই নতুন রাজনৈতিক দলকে স্বাগত জানাই। এই দল তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে, যারা জুলাই আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। অনেকেই নেতৃত্বের জায়গায় ছিলেন। এরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণে যে ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জের মুখে আমরা আছি, সেখানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার বাইরেও ন্যূনতম জাতীয় ঐক্য রক্ষা করার জন্যে তারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, জনগণের ভেতর থেকে দল গড়ে তোলার কাজ করবে সেই প্রত্যাশা করি।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, তরুণদের রাজনৈতিক প্রয়াসকে আমরা অভিনন্দন জানাই। অভ্যুত্থান পরবর্তী মানুষের প্রত্যাশা এবং কিছু মাত্রায় হতাশা দুটোর মধ্যে তারা যখন রাজনৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন, তখন আমি মনে করি তারা অবশ্যই রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে বলেন, এই নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব কর্তৃত্ববাদ পতন-পরবর্তী বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জিরো-সাম রাজনীতির হাতে জিম্মিদশা থেকে উত্তরণের সম্ভাবনা নিয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ ইতিবাচক গণতান্ত্রিক চর্চা বিকাশে সহায়ক হতে পারে।
কালের আলো/এমএএইচ/এনএইচ