আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি: ঢাবি উপাচার্য
প্রকাশিতঃ 1:29 pm | March 02, 2025

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি, যা আমাদের সাহস দেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরো জাতিকেও সাহস দেয়।
রোববার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনকারী সাবেক ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি।
আ স ম আবদুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা ইঙ্গিত করে উপাচার্য বলেন, যারা ইতিহাস নির্মাণ করেন, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা আ স ম আবদুর রবকে ব্যক্তিগত পরিচয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। ঐতিহাসিক এ দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, দেশ নানামুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রে মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ঐক্য ধরে রাখতে এই উদ্যোগগুলো আরও আন্তরিকতার সঙ্গে আয়োজন করা জরুরি।
উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমরা ঐতিহাসিক দিনে সমবেত হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আর ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। জাতীয় পতাকা আমাদের ঐক্যের জায়গা। এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। সব ধরনের আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে একতাবদ্ধ হয়। আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হব।
কলা অনুষদের ডিন সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা। যাদের রক্তের মিনিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এসময় তিনি ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪-এর আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতের আরোগ্য কামনা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের সঞ্চালনায় এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এমডিএইচ