মাজার বস্তির প্রতি ঘরে গোপন সুড়ঙ্গ, সহজেই পালায় অপরাধীরা
প্রকাশিতঃ 3:50 pm | March 02, 2025

গাজীপুর প্রতিবেদক, কালের আলো:
গাজীপুরের টঙ্গীর মাজার বস্তি। শনিবার (১ মার্চ) রাতে টঙ্গীতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাজ্জব বনে যান এখানে। কারণ, বস্তির কিছু ঘরে বিশেষ কাঠামো রয়েছে। যা পালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিটি কক্ষে সুড়ঙ্গ পথ রয়েছে, যার মাধ্যমে অপরাধীরা সহজেই অন্য দিক দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে। এমনকি ঘরের নকশা এমনভাবে তৈরি যে, এক দিক থেকে বের হয়ে গেলে অন্য পাশ থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া যায়, ফলে তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থার উন্নয়নকল্পে জেলা প্রশাসন গাজীপুর, গাজীপুর সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও উত্তরা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সঙ্গে বিজিবি, র্যাব ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যবৃন্দ যোগ দেন।
আপনারা জানেন, মাজার বস্তি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও ছিনতাই রাহাজানিতে এসব এলাকার অনেক মানুষ জড়িত।
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এ অভিযানটি পরিচালনা করেছি। বস্তির বিশেষ সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে অনেক অপরাধী পালিয়ে গেলেও আমরা ৬০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।
মাদকের পাইকারি বাজার এই মাজার বস্তিতে প্রায় শতাধিক মাদকের দোকান রয়েছে। বাসা বাড়ি ও দোকান থেকে নিয়মিত পাইকারি হিসেবে মাদক বিক্রি হয়।
এখান থেকে স্থলপথ, রেলপথ ও জলপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক যায়।
কক্সবাজার থেকে সরাসরি ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক টঙ্গীর মাজার বস্তিতে আসে। আর এখান থেকে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে।
কালের আলো/এসএকে