চেতনায় একুশ ছড়িয়ে দিতে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগ
প্রকাশিতঃ 2:51 am | February 21, 2018
নিউজরুম এডিটর, কালের আলো :
রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাত থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এই দিবসটি পালন করছে গোটা জাতি। আর বরাবরের মতো এবারো মহান ভাষা শহীদদের হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধা জানাবে গরিব, অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসা ‘শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র’ নামের স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন।
মহা আনন্দের অত্যুজ্জ্বল এ দীপশিখা জ্বালানো দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে স্মরণ করা হবে ভাষা শহীদদের। সাত সকালে বিষামাখা চিরচেনা সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কন্ঠে নিয়ে শহীদ মিনারমুখী চলবে একুশের প্রভাত ফেরী।
বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে শিশু কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন ও নান্দনিক হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা।
তিনটি গ্রুপে প্রতিযোগিরা এতে অংশ নিবেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহপাঠী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজি।
উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, গান বাংলার চেয়ারম্যান ফারজানা মুন্নি, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান, মেসার্স কাশেম এন্ড কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
‘সহশিক্ষা যুক্ত, অপরাধ মুক্ত, শিক্ষার্থী ঐক্য’ শ্লোগানকে সামনে রেখে গরীব ও অসহায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করা এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান।
সব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন যাত্রার মানোন্নয়নের মহান ব্রত নিয়েই গত ৪ বছর যাবত কাজ করে যাচ্ছে এ সংগঠনটি।
শিক্ষার আলোয় নিজেদের আলোকিত করে তুলতে চাহিদামতো বই, খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, ব্যাগ, স্কুলের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় সব উপকরণাদি তুলে দেয়া হচ্ছে শিশুদের।
জানতে চাইলে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রহমান দৈনিক কালের আলোকে বলেন, বহু রক্তের দামে এসেছে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। বাঙালির সেই আত্নত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন।
গর্ব আর শোকের মধ্যে দিয়ে এ দিবসে আমরা দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছি। অদূর ভবিষ্যতেও একইভাবে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করবো।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী, বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ কোমলমতি এসব শিশুদের হৃদয়ে গেঁথে দিতে আমাদের এরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
কালের আলো/ওএম/এসএইচ