২৬ মিডিয়া ভবনের ২৪টি অগ্নিঝুঁকিতে
প্রকাশিতঃ 10:32 pm | March 30, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
রাজধানী ঢাকা ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে গণমাধ্যমের অফিসও। ২০১৭ সালে ফায়ার সার্ভিস ঢাকার ২৬টি মিডিয়া হাউজ পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে জানায়, ১৮টি মিডিয়া হাউজ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, ৬টি ঝুঁকিপূর্ণ।
শুধুমাত্র বাংলাদেশ টেলিভিশন ও যমুনা টেলিভিশন ভবনই সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
বাকি মিডিয়া ভবনের কোনটিরই অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের কোনো ছাড়পত্র বা অগ্নিনিরাপত্তা পরিকল্পনার (ফায়ার সেফটি প্ল্যান) অনুমোদন নেই।
ফায়ার সার্ভিসের ঐ জরিপে ভবনগুলোর মাটির নিচের জলাধারের ধারণ ক্ষমতা, অবস্থানকারীর সংখ্যা, প্রবেশদ্বারের প্রশস্ততা, স্মোক/হিট ডিটেক্টর, মেঝের আয়তন, জরুরি নির্গমন সিঁড়ি, লিফট ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখে ঝুঁকি নিরূপণ করা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই প্রতিবেদন বলা হয়, খুবই ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে, কারওয়ানবাজারস্থ ১০২ বিএসইসি ভবনের বেঙ্গল মিডিয়া কর্পোরেশন লি. (আরটিভি), তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ১৫৯/ডি প্রতিদিনের সংবাদ, ১৫৩/৯ লাভ রোডের সেমি পাকা দৈনিক পথযাত্রা কার্যালয়, ১৩৬ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলস্থ দৈনিক সমকালের তৃতীয় তলা, দৈনিক যায়যায় দিন, আমাদের সময় পত্রিকার ৪র্থ তলা, চ্যানেল টুয়েন্টিফোর (৪র্থ তলা), চ্যানেল-৯ (৬ষ্ঠ তলা), ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সকালের খবর, গুলশান নিকেতনের ৬০ নং সড়কে অবস্থিত এশিয়ান টিভি, ৫৩ কারওয়ানবাজারের হাসান প্লাজার এটিএন নিউজ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক প্রথম আলো, এটিএন বাংলা, এনটিভি, মহাখালীস্থ বৈশাখী টিভি ও একুশে টিভি।
ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেক্সিমকো মিডিয়া (ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি), একই এলাকার চ্যানেল ওয়ান (সম্প্রচার বন্ধ), ভাটারার বসুন্ধরা এলাকার নিউজ ২৪, কালের কণ্ঠ, শহীদ জিয়াউর রহমান রোড বনানীর স্কয়ার সিকিউরিটিজ ম্যানেজমেন্ট লি. এর মাছরাঙ্গা টেলিভিশন এবং রামপুরা হাতিরঝিল সংলগ্ন মাই টিভি ভবন।
২৬ মিডিয়া হাউজের মধ্যে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সেফটি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস। তা হলো, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ও কুড়িল বারিধারায় যমুনা টেলিভিশন।
তবে এই তালিকার বাইরে অনেক অনলাইন নিউজ পোর্টাল, পত্রিকা ও টেলিভিশনের কার্যালয়ও রয়েছে অগ্নি ঝুঁকিতে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ জানান, জরিপের পরে সতর্ক করার জন্য লিখিতভাবে অন্তত তিন দফা মন্ত্রণালয়েও সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু কার্যত খুব বিশেষ অগ্রগতির তথ্য আমরা পাইনি। কেউ স্ব-প্রণোদিতভাবে আমাদের হালনাগাদ অগ্রগতিও জানায়নি।
কালের আলো/এমএইচএ