ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে রয়েছে গোপন বন্দিশালা: গুম কমিশন
প্রকাশিতঃ 7:10 pm | March 04, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকার বাইরে বগুড়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গোপন বন্দিশালা রয়েছে বলে জানিয়েছে ‘গুমসংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’। এসব বন্দিশালা চিহ্নিত করে সেগুলো অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে গুম কমিশনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ঢাকা, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ডিজিএফআই, সিটিটিসি ও র্যাবের নিয়ন্ত্রণাধীন গোপন বন্দিশালা চিহ্নিত করে সেগুলো অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে গুমের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গত আড়াই বছরে আটক এক হাজার ৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিকের তালিকা পাওয়া গেছে। সেখানে গুমের শিকার কোনো ব্যক্তি থাকলে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, গুমের দায় সংশ্লিষ্ট বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়। গুমের ঘটনায় পুরো বাহিনীকে দায়ী করা হবে, এমন ধারণা ভুল। এটি ব্যক্তিগত দায়। তাই কোনো বাহিনীর সদস্যদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, কমিশনে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে এক হাজার অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই সম্পন্ন হয়েছে। ২৮০ জন অভিযোগকারী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৫ জন সদস্যের সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৩০ জন গুমের শিকার ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা অনুসন্ধান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মো. সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য নাবিলা ইদ্রিস, সদস্য মো. নূর খান, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমদ শিবলী প্রমুখ।
কালের আলো/এসএকে