ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৫১ আলেমের বিবৃতি

প্রকাশিতঃ 6:35 pm | March 10, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ধর্ষণ শুধু অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের ভয়াবহ চিত্র বলে মন্তব্য করেছেন আলেমরা।

নারী-শিশু ধর্ষণ ও বিচার না পাওয়ার প্রতিবাদে সোমবার (১০ মার্চ) এক বিবৃতিতে দেশের প্রখ্যাত ১৫১ জন আলেম এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমাদের সমাজে যে নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে, তা মানবতা ও নৈতিকতার মৌলিক ভিত্তিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি আয়না ঘরে রোজার মধ্যে পর্দানশীন মুসলিম নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধর্ষণের শিকার ১৬ বছরের কিশোরী বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাগুরায় একটি নির্দোষ ৮ বছরের শিশু নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হয়ে এখন লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এগুলো শুধু একটি অপরাধই নয়, মানবতার বিরুদ্ধে চরম আঘাত এবং আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের এক ভয়াবহ চিত্র।

এতে আরো বলা হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষণ একটি জঘন্যতম অপরাধ—যা কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নয়।

এই ধরনের অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা সমাজের শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এই ঘটনা শুধু বর্তমান সমাজকে কলুষিত করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত তৈরি করছে।

ভবিষ্যতে যাতে কেউ এমন দৃষ্ট অপরাধ করার সাহস না পায়। একই সঙ্গে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধর্ষকের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

তারা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, শুধু শাস্তি ধর্ষণ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট না। শাস্তির পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের জায়গাকে সমুন্নত রাখতে হবে।

আলেমরা বলেন, দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ করছি যে, সুকৌশলে আমাদের সমাজে পশ্চিমা অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো হচ্ছে—যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের জন্য এক মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মো. মুহিম ওরফে মোহনা নামক এক রূপান্তরকামী ব্যক্তিকে অদম্য নারী পুরস্কার দেওয়াকে নারীদের প্রকৃত মর্যাদাকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে উপহাস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

তারা বলেন, একজন জন্মগত পুরুষকে নারীর স্বীকৃতি দেওয়া এবং নারীদের জন্য নির্ধারিত পুরস্কার প্রদান করা নারীত্বের প্রতি চরম অবমাননাকর।

এটিকে আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ ও পারিবারিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত হিসাবে বিবেচনা করছি। বিকৃত যৌন মতাদর্শের নরমালাইজেশনের প্রচেষ্টা বিদ্যমান অবস্থাকে আরো প্রকট করবে।

বিবৃতিদাতা ১৫১ আলেম হলেন— আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, শায়েখ আহমাদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতি মুহা কাজী ইব্রাহীম, ড. মিজানুর রহমান আল আজহারী, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলিলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুবন্দার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়িব (জিবি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মানজুরে এলাহি, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, অধ্যাপক ড. সায়েদ মাকসুদুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মুখতার আহমেদ, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, শায়খ হারুন আজিজী নদভী, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক।

মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী) ড. ইউসুফ সুলতান, শায়েখ মুরতাজা হাসান ফরাজী মাসুম, ড. মো. রফিকুল ইসলাম আল মাদানী, ড. রশিদ আহমদ, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহম্মাদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন, মুফতি আমির হামজা, শায়খ কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারী, শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, মুফতি মনোয়ার হোসেন, শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা রাষ্ট্রী বিন মুনির, শায়খ জামাল উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, শায়খ সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম,মাওলানা মীযান হারুন, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানী, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি নোমান কাসেমী, শায়খ যোৱা নাজিমুদ্দীন, মুফতি জিয়াউর রহমান, উদ্ভাব আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান, মুফতি হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদি, মাওলানা গাজি ইয়াকুব, মুফতি সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফাফ ফুরকান, মুহাদ্দিস মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন, মাওলানা সিফাত হাসান, মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মুহাম্মাদ নুরুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানী, মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মাওলানা আমিন ইকবাল, মাওলানা ইমরান রাইহান, মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা নাজমুল হাসান, শায়খ ইউসুফ ওবায়দী, উদ্ভাদ আহমদ রফিক, মাওলানা হাছিব আর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা এ হাসিনুর রহমান, মাওলানা আসাদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ মাওলানা মুফতি আৰু মুহাম্মদ রহমানী, মাওলানা আবুল কাহহার, শায়খ ড. আস সালাম আজাদী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতি আফিফ,  ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, মাওলানা মাসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মুফতি আম্মার নুর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন থাকা, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা নুরুল কারীম আকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী,মাওলানা মুস্তাফা, শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতি নুরুন্নবী, মুফতি মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মুফতি তানভীর আহম্মদ, মুফতি আল আমিন, মুফতি সুলাইমান খান, মুফতি সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহম্মদ, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি রফিকুল ইসলাম, মুফতি আবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতি ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক, মুফতি মোবারের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মুফতি মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতি শরীফুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মুফতি দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মুফতি মোহাম্মাদউল্লাহ, মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি, মুফতি জুবায়ের আবদুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা শাহজাহান আল হাবিবি।

কালের আলো/এসএকে