শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার, ইটস এ কাইন্ড অব হাইওয়ে রভারি: প্রেস সচিব

প্রকাশিতঃ 7:43 pm | March 10, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে (২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত) ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। তার মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার হয়। ইটস এ কাইন্ড অব হাইওয়ে রভারি।

সোমবার (১০ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলে আসছেন এটি সরকারের টপ প্রায়োরিটি। এটা বাংলাদেশের মানুষের টাকা। যেভাবেই হোক আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই। সে লক্ষ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ১১ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এ ফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এই টাস্কফোর্স এবং অন্যান্য এজেন্সি টাকা ফিরিয়ে আনতে কতটুকু কী করছে, অগ্রগতি কতদূর তা জানতে আজ বড় ধরনের একটি বৈঠক হয়েছে।

প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিএফআইইউ প্রধান ও স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, এসইসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে পাচার করা টাকা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় ও এ সংক্রান্ত কার্যক্রম সমন্বিতভাবে করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আইনটি প্রণয়ন করা হতে পারে। বিদেশে যারা সরকারকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে এ আইন প্রণয়ন তাদেরও একটি চাহিদা। এ কারণে আইনটি দ্রুত করা হচ্ছে এবং এ আইনের আওতায় পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে।

শফিকুল আলম জানান, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকার যে বিভিন্ন ল ফার্ম ও বিভিন্ন সংস্থার সাথে কাজ করছে এ আইনটি প্রণীত হলে তাদের সঙ্গে কাজ করতেও সুবিধা হবে। ইতিমধ্যেই ২০০টি ল ফার্মের সাথে কথা বলেছি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ৩০টি ল ফার্মের সঙ্গে চুক্তিতে যাবেন বলে তিনি জানান।

প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে বলেছেন, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেন এটি বাংলাদেশের মানুষের টাকা, যত দ্রুত পারা যায় টাকাটা বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনা হোক। এর অগ্রগতি জানতে প্রতি মাসে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। ঈদের পরেই তিনি আরেকটি বৈঠক ডেকেছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পাচার করা টাকা কোথায় নিয়ে গেল কীভাবে নিয়ে গেল তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে বলেছেন।

কালের আলো/এএএন