বিমান চলাচলে রান্নার তেল ব্যবহার নিয়ে গবেষণা

প্রকাশিতঃ 10:19 pm | March 10, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

তেলে কিছু ভাজার পর আমরা সেই তেল ফেলে দিই। কিন্তু ফেলে দেওয়া এই তেল বিমান চালাতে ব্যবহার করা যায় কি না তা নিয়ে স্পেনে গবেষণা চলছে। এতে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

স্পেনের বিমানসংস্থা আইবেরিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের ১০ শতাংশ ফ্লাইট এই তেল দিয়ে চালাতে চায়। এয়ারলাইন সাস্টেইনেবিলিটি পরিচালক টেরেসা পারেখো বলেন, ‘‘গবেষণায় দেখা গেছে, টেকসই জ্বালানি শিল্পখাত গড়ে তোলার বিপুল সম্ভাবনা আছে, বিশেষ করে স্পেনে। বিমান চলাচল খাত পরিবেশবান্ধব করা আমাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের দেশের দিকে দেখুন, আমরা ইউরোপের প্রান্তে অবস্থিত। আর আমাদের অনেক দ্বীপ আছে যেগুলোকে মূল্য দেশের সঙ্গে যুক্ত রাখা প্রয়োজন।’’

ভাজাপোড়ার তেল থেকে টেকসই কেরোসিন তৈরিতে এখন তিন গুণ বেশি খরচ হচ্ছে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।

স্পেনের আন্দালুসিয়ায় আরেকটি নতুন রিফাইনারি তৈরি হচ্ছে। সেখানে আরও বর্জ্যকে জ্বালানিতে পরিণত করা হবে। ইউরোপে এই ধরনের এটিই সবচেয়ে বড় রিফাইনারি হবে।

এই খাত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও ভূমিকা আছে। তারা মনে করে বিমানে অবশ্যই দুই শতাংশ টেকসই জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে। ২০৩০ সালে সংখ্যাটি ছয় শতাংশ ও ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ করতে চায় ইইউ।

মাদ্রিদের এই গবেষণাগারে রেপসল কোম্পানি বিমান খাতে অপরিশোধিত তেল ছাড়া আর কী ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে।

জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টার ভাজাপোড়া তেলের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে কাজ করেছে। একটি গবেষণা বিমান ব্যবহার করে তারা বড়, বাণিজ্যিক বিমানের ধোঁয়া পর্যবেক্ষণ করেছে। প্রথমটিতে সাধারণ জ্বালানি ব্যবহৃত হয়েছে। পরেরটিতে পুরোপুরি নতুন বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে, যা রান্নার তেল থেকে তৈরি হয়েছে।

জার্মান এয়ারোস্পেস সেন্টারের ক্রিস্টিয়ানে ফোইগ্ট বলেন, ‘‘আমরা দেখতে পেয়েছি টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের কারণে কম ধোঁয়া নির্গত হয়েছে। এর ফলে বরফের স্ফটিক কমে এবং উষ্ণতা কমায়।’’

কালের আলো/এসএকে