প্রবাসীদের প্রক্সি ভোটের ভাবনায় আলোড়ন
প্রকাশিতঃ 2:01 pm | March 12, 2025

কালের আলো রিপোর্ট:
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে কর্মরত এক কোটি ৩৬ লাখের মতো প্রবাসী। দেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় চালিকাশক্তি তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বিদেশবিভুঁইয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এসব প্রবাসী বছরে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠান। কিন্তু দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের বিপরীতে এই বিপুলসংখ্যক ভোটার কখনও ভোট দিতে পারেননি। বরাবরই তাঁরা তাদের ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসীদের ভোট ক্ষমতা প্রয়োগের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ছোট পরিসরে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতি চালুর কথা ভাবছে তাঁরা। সময়ের মধ্যে সম্পাদনযোগ্য একটি পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, অনলাইন পদ্ধতি এবং প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে তাঁরা এগোচ্ছেন। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হলে প্রক্সি ভোট পদ্ধতিটি মোটামুটি পরিসরে চালু করা সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ’র কথায়ও পাওয়া গেছে এমন আভাস।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেছেন- ‘পোস্টাল, অনলাইন ও প্রক্সি ভোট-এই তিনটি পদ্ধতির মধ্যে প্রক্সি ভোট নিয়ে এপ্রিলের শুরুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। এরপর রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সবার সম্মতি পেলে এবং সিস্টেম ডেভেলপ করা সম্ভব হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ছোট পরিসরে চালু করা হবে প্রক্সি ভোট।’
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ’র এমন বক্তব্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ইসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরাও। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট প্রয়োগের দীর্ঘদিনের আক্ষেপের অবসান ঘটতে চলেছে। তাঁরা বলছেন, ‘বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকরা সংসদে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে নিজের ভোট ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। কিন্তু আমরা কখনও এই সুযোগটি পাইনি। এবার অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিচ্ছে। নি:সন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
জানা যায়, চলতি বছরের শুরুতে ভোটার হালনাগাদের ২০২৫ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে দেখা গেছে, দেশে মোট ভোটার বেড়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নতুন ভোটার ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩১২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া প্রায় সোয়া কোটির বেশি কর্মসূত্রে প্রবাসী রয়েছেন। যা মোট ভোটারের প্রায় ১৫ শতাংশ। আসনভিত্তিক এই সংখ্যা যে কোনো আসনের ভোটের ফল নির্ধারণে ভূমিকা পালন করতে পারে। এদিকে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দিলে তাকে ভোটের অধিকারও দিতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ২৭ অনুচ্ছেদের (১) এর (গ) মোতাবেক বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি ভোটার ডাকযোগ (পোস্টাল) ব্যালটে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। কিন্তু অতীতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
- সিস্টেম ডেভেলপ করা সম্ভব হবে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ছোট পরিসরে চালু করা হবে প্রক্সি ভোট
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার (ইসি)
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ প্রবাসী ভোটাধিকারের বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রক্সি ভোট, এটিই একমাত্র পদ্ধতি ন্যূনতম ইন্টারভেনশনের সময়ের মধ্যে করা সম্ভব। কমিটি যে রোডম্যাপ সাজেস্ট করেছে এবং কমিশন গতকাল (সোমবার) এপ্রুভড করেছে-তিনটি পদ্ধতি নিয়ে একটা ওয়ার্কশপ করা হবে এ প্রস্তাবনার ওপরে।’
ইসি আবুল ফজল বলেন, ‘প্রক্সি ভোট হচ্ছে, একজন প্রবাসী বাংলাদেশির পক্ষে দেশে অবস্থান করা একজন ভোটার তার হয়ে ভোটটা দিয়ে দেওয়া। ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, ভোটারের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ভোটিং সিস্টেম রাখা-এসব আমাদের বিবেচনার বিষয়।’
প্রক্সি ভোট পদ্ধতি চালুর জন্য প্রথমে ডেভেলপ করা হবে একটি অ্যাপ
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রক্সি ভোট পদ্ধতি চালুর জন্য প্রথমে একটি অ্যাপ ডেভেলপ করা হবে। যদিও অ্যাপ তৈরির কাজ এখনো শুরু হয়নি। এ পদ্ধতিতে প্রবাসী যারা ভোটে দিতে চান, তারা প্রথমে একটি অ্যাপে ফেস রিকগনিশনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করবেন। প্রি-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ভোটের আগ্রহ প্রকাশ করবেন। ওই রেজিস্ট্রেশনের সময় তার পক্ষে যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, ওই ব্যক্তির এনআইডি এবং বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। কমিশন জানিয়েছে, যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, তিনি নিজের ভোটও দিতে পারবেন। প্রক্সি মূলত ওয়ান কাইন্ড অব পাওয়ার অব অ্যাটর্নি। প্রবাসীরা বিদেশে বসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিজের পক্ষে একজনকে (নিজ নির্বাচনী এলাকার) প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রক্সি ভোটারের এনআইডি ও ফোন নম্বর দিতে হবে।
ইসিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আবুল ফজল বলেন, ‘কমিটি প্রস্তাব করেছে-প্রথম দুটি পদ্ধতি সময়ের মধ্যে সম্পাদনযোগ্য পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি এবং অনলাইন পদ্ধতি। এই দুটিকে তারা প্রস্তাব করেছে। ট্রায়াল করে কোনটি বেশি গ্রহণযোগ্য তা দেখতে বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘পাশাপাশি কমিটি সুপারিশ করেছে আগামী নির্বাচনে যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে হয়, তাই প্রবাসীদের চাওয়া পূরণ করতে আমাদের প্রক্সি ভোটিংয়ে যেতে হবে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রক্সি ভোটিং আছে। ভারতে কেবল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য এটি চালু আছে।’ তার ভাষ্য হচ্ছে- ‘কমিটি যে রোডম্যাপ সাজেস্ট করেছে এবং সেটি কমিশন গতকাল (সোমবার) অ্যাপ্রুভ করেছে যে এই তিন ভোটিং সিস্টেম নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিলের মধ্যে এই কর্মশালা হবে। এর মধ্যে আমরা চূড়ান্ত করব। সেজন্য আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, যারা এগুলো নিয়ে কাজ করে তাদের যুক্ত করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, এমআইএসটি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিটির বিশেষজ্ঞ ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানদের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
কর্মশালার মাধ্যমে তিনটি সিস্টেম আর্কিটেকচার ডেভেলপ করা হবে বলে জানান ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এটি ডেভেলপ হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। এরপরে আমরা স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। সেখানে যদি সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন হয় তখন আমরা একটি সিস্টেম দাঁড় করাব। সেটার জন্য লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ককে মডিফাইড করতে হবে। বর্তমান যে আইন আছে সেই আইন পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফাইনালি আমরা একটা ট্রায়াল রানে যাব। আমাদের আশা, এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আমরা প্রক্সি ভোট মোটামুটি একটা পরিসরে আমরা আগামী নির্বাচনে চালু করতে পারব। আর বাকিগুলো ট্রায়াল ফেজে ইমপ্লিমেন্ট করতে পারব বলে আমাদের ধারণা।’
প্রক্সি ভোটিং সিস্টেম ভালো উদ্যোগ, বলছেন প্রবাসীরা
সিলেটের কানাইঘাটের প্রবাসী দুলাল চৌধুরী। গত ১৫ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবের জেদ্দা প্রবাসী। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশে থাকতে পারেন না। কিন্তু প্রবাসীদের ভোট প্রয়োগের সুযোগের অভাবে তিনিও ভোট না দেওয়ার আক্ষেপে পোড়েন। এবার প্রবাসীদের ভোট প্রদানের সুযোগ করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রক্সি ভোটের সুযোগ পেলে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’
কানাডা প্রবাসী আহমেদ সুলতান বলেন, প্রক্সি ভোটিং সিস্টেম ভালো উদ্যোগ। অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দিকে নজর দিয়েছে। তবে এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটতে হবে। আমি যাকে ভোট দিতে চাই তাকে যেন ভোটটা দিতে পারি, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়।’
আরেক কানাডা প্রবাসী নুরুজ্জামান মামুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। বিগত সরকার আমাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ বঞ্চিত করেছে। ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। প্রক্সি ভোটের এই উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’
বিএমইটি’র তথ্য মোতাবেক প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা
জনশক্তি রপ্তানি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) জানায়, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিক ভিসায় বাংলাদেশ ছেড়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ। এই সময়ে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ইউএস ডলার। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবশেষ গত ১০ বছরে শ্রমিক ভিসায় প্রবাসে গেছেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। সবশেষ পাঁচ বছরেই শ্রমিক ভিসায় বিদেশে গেছেন সাড়ে ৩৬ লাখ বাংলাদেশি। ২০২২ সালে বিদেশগামী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩। এর আগে ২০২১ সালেও ৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৯ বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসী হয়েছেন। গত পাঁচ বছরে সৌদি আরবে গেছেন ২০ লাখ, আরব আমিরাতে ২ লাখ ১৫ হাজার, কুয়েতে ৬৬ হাজার, ওমানে ৪ লাখ ৩৫ হাজার, কাতারে ১ লাখ ২৫ হাজার, মালয়েশিয়ায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার, সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৯৩ হাজার, লেবাননে ৯ হাজার, জর্ডানে ৫৬ হাজার, লিবিয়ায় ৭৫০ জন, বাহরাইনে ১৫৮ জন, সুদানে ৬৫৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১২ হাজার, যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৭ হাজার, ইতালিতে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ জন, জাপানে ১ হাজার ৫৭৯ জন, মিসরে ৭৫ জন, ব্রুনাইতে ৭ হাজার ১০১ জন, মরিশাসে ১৬ হাজার ৪৮৬ জন, ইরাকে ৯ হাজার ৪২৭ জন ও অন্যান্য শতাধিক দেশে মোট প্রায় ৭৫ হাজার বাংলাদেশি জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছে। যাদের অনেকে ছুটিতে দেশে আসা-যাওয়া করলেও বেশির ভাগই প্রবাসে রয়েছেন।
বিএমইটি জানায়, শ্রমিক ভিসায় বিদেশে যাওয়া মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সৌদি আরবে (৩৫.৭৩%) রয়েছেন। এর পরই রয়েছে আরব আমিরাত (১৬.৩৯%) ও ওমানের (১১.৮২%) অবস্থান। মালয়েশিয়ায় রয়েছে মোট প্রবাসীর ৮.৮৪ শতাংশ। কুয়েতে ৪.৩৩ শতাংশ, কাতারে ৫.৫৯ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৫.৮৭ শতাংশ, বাহরাইনে ২.৬০ শতাংশ, লেবাননে ১.৭২ শতাংশ, জর্ডানে ১.৩৭ শতাংশ, লিবিয়ায় ০.৭৮ শতাংশ, সুদানে ০.০৮ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ০.৩৩ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ০.১১ শতাংশ, ইতালিতে ০.৫০ শতাংশ, জাপানে ০.০২ শতাংশ, মিসরে ০.১৫ শতাংশ, ব্রুনাইয়ে ০.৫০ শতাংশ, ইরাকে ০.৪৮ শতাংশ ও অন্যান্য দেশে ২.০২ শতাংশ। অর্থাৎ মাত্র ২০টি দেশেই অবস্থান করছেন বাংলাদেশের প্রায় ৯৮ শতাংশ শ্রমিক। এছাড়া ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, প্রতি বছর গড়ে অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। অর্থাৎ তরুণ ভোটারদেরও একটি বড় অংশ প্রবাসে অবস্থান করছেন।
কালের আলো/আরআই/এমকে