মাগুরার সেই আছিয়ার মৃত্যু, ক্ষোভ ঝাড়লেন তমা মির্জা
প্রকাশিতঃ 4:24 pm | March 13, 2025

বিনোদন ডেস্ক, কালের আলো:
অবশেষে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা মাগুরায় শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পোস্টে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।
হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ বলেন, আজ সকালে দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। দুপুর ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, এই পাশবিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সরব সব শ্রেণি পেশার মানুষ। সেই সাথে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে নেটিজেনরা। এমনকি ঢালিউড এবং ছোটপর্দার অভিনয় শিল্পীসহ পরিচালকরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। চাইছেন ধর্ষকের বিচার।
ঢাকাই সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তমা মির্জা বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নিজের ফেসবুকে শিশুটির মৃত্যুসংবাদ শেয়ার দিয়ে তমা লিখেছেন, শুনুন পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে। আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ-বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না। ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সাথে সাথে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।
মন্তব্যের ঘরে অনুসারীদের অনেকে তমার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। একজন লিখেছেন, আমার বোন কবরে ধর্ষক কেন বাহিরে। অন্য একজন লিখেছেন, বলার কিছু নেই।
কালের আলো/এসএকে