মাগুরায় আসামিদের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর, লুটপাট

প্রকাশিতঃ 4:37 pm | March 14, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া খাতুনের মৃত্যুর পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর চালিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা পৌর এলাকায় নিজনান্দুয়ালী গ্রামে আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করেন তারা। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির মূল কাঠামো ভাঙার পাশাপাশি সেখান থেকে গাছপালাও কেটে নিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়িতে কয়েকটি দেয়াল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ওই বাড়িতে লুটপাট শুরু হয়। প্রথমেই বাড়ির জানালা-দরজা ভেঙে বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র লুট করে নেন কিছু লোকজন। এরপর সন্ধ্যা সাতটার পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গভীর রাত পর্যন্ত ওই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালবেলা দুই দফায় শিশুটির ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে এসেছিল। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফেরেনি। দুপুর ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার মা। মামলায় শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মাগুরার এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ও সমালোচনা চলছে। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

কালের আলো/এসএকে