পুতিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি, তবে কার্যকর করতে কতটা ইচ্ছুক তিনি?

প্রকাশিতঃ 5:09 pm | March 14, 2025

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কালের আলো:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী ইউক্রেনের সঙ্গে ৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে পুতিন জানান, তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন। কিন্তু এই বিরতির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ‘মূল যে দ্বন্দ্ব’ রয়েছে সেটির সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যার অর্থ পুতিন শর্ত বেধে দিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ‘রাশিয়া সম্পাদক’ ভিটালি শেভচেনকো তার বিশ্লেষণে বলেছেন, পুতিন যে যুদ্ধবিরতিতে হ্যাঁ বলেছেন এতে তিনি অবাক হননি। কারণ তার এ হ্যাঁ ছদ্মবেশী ‘না’।

তিনি বলেছেন, পুতিন যেসব শর্ত দিয়েছে যেসগুলো ইউক্রেনের জন্য বিপর্যয়কর হবে। তারা আর কোনো অস্ত্র সহায়তা নিতে পারবে না, সেনা জড়ো করতে পারবে না এবং রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যেসব ইউক্রেনীয় সেনারা অভিযান চালাতে প্রবেশ করেছিল তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে নয়ত মরতে হবে। মানে ইউক্রেনীয় সেনাদের কুরস্ক থেকে প্রত্যাহারের সুযোগও দেবেন না পুতিন।

এছাড়া পুতিন ‘মূল দ্বন্দ্ব নিরসনের’ যে শর্ত দিয়েছেন সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিবিসির এই বিশ্লেষক। তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক ইতিহাস অনুযায়ী, পুতিনের কাছে ইউক্রেনের মূল দ্বন্দ্ব হলো— ইউক্রেন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেশে অথবা বিদেশে নিজস্ব নীতি গ্রহণ করতে পারবে না। অর্থাৎ নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা ন্যাটো বা অন্য কোনো জোটে যোগ দিতে পারবে না। তারা চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নেও যোগ দিতে পারবে না।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে ‘বল এখন রাশিয়ার দিকে রয়েছে’। সেই বলকে পুতিন এখন আবার যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন।

এতে বোঝা যাচ্ছে, যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও এটি কার্যকরের সম্ভাবনা এখন খুবই কম। বিবিসি আরও জানিয়েছে, পুতিন মূলত এখানে কৌশলী ভূমিকা পালন করেছেন। এখন যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়েছে। তাই তিনি তাদের প্রস্তাবকে সরাসরি ‘না’ বলেননি। এর বদলে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলেছেন।

সূত্র: বিবিসি

কালের আলো/এসএকে